এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > পরকীয়ায় নাম জড়িয়ে বঙ্গ বিজেপির সাংসদের নামে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল! নতুন অস্বস্তি বিজেপিতে?

পরকীয়ায় নাম জড়িয়ে বঙ্গ বিজেপির সাংসদের নামে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল! নতুন অস্বস্তি বিজেপিতে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির পক্ষ থেকে প্রায়শই তৃণমূল নারী নির্যাতনে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়। এমনকি বাংলায় নারীরা সুরক্ষিত নয় বলেও সরব হন বিজেপি নেতারা। কিন্তু এবার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের একটি হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন সামনে আসার পরেই নতুন করে চাপে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি।

জানা গেছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে একটি পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে। যেখানে তার মোবাইলের চারটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট তুলে ধরা হয়েছে। দেখা গেছে, এই হোয়াটসঅ্যাপে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এক মহিলাকে বলছেন, “এমন করে কাউকে ভালবাসিনি কৃষ্ণা।”  যার জবাবে সেই ভদ্রমহিলা বলছেন, “শিয়ালদহ স্টেশনের দোতলায় রুম পাওয়া যায়, যেতে পারবে!” আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি সাংসদ মন্তব্য করেন, কত সময়ের জন্য! তারপর বাড়িতে তিনি কি বলবেন, এই সমস্ত প্রশ্ন সেই মহিলার উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে অপরের স্ত্রীর সঙ্গে এইভাবে বিজেপি সাংসদের প্রেমালাপের কথোপকথন প্রকাশ্যে আসায় রীতিমত চাপে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এই স্ক্রিনশট নিয়ে এখন নানা মহলে চর্চা হলেও, প্রিয়বন্ধু বাংলা এর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি। তবে গোটা ঘটনায় যেভাবে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে, তাতে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের ভাবমূর্তিতে অনেকটাই কালি লেগে গেল বলে দাবি করছেন একাংশ।

কে বা কারা সাংসদের এই কথোপকথনূর স্ক্রিনশট সামনে এনেছেন? জানা গেছে, যে যুবক এই স্ক্রিনশট সামনে এনেছেন, তিনি নিজেকে নবনির্মাণ ভারত পশ্চিমবঙ্গ নামে একটি সংগঠনের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলে দাবি করেছেন। ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথোপকথনের স্ক্রিনশট তুলে ধরেছে।

 

 

 

যেখানে বলা হয়েছে, “দাদা সবকিছু বেরিয়ে গেল। এবার মুখ দেখাতে পারবেন তো!” আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে হেভিওয়েট এই বিজেপি সাংসদের পরকীয়াজনিত একটি কথোপকথন প্রকাশ্যে চলে এল, তাতে বিজেপি এখন ব্যাপকভাবে ব্যাকফুটে চলে গেল বলেই মনে করছে একাংশ।

জগন্নাথ সরকার অবশ্য দাবি করেন, ‘ভুয়ো প্রোফাইল থেকে ভুয়ো ছবি দেখিয়ে আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। যে মহিলার ছবি রয়েছে তিনি কে তা-ও আমি জানি না। বিজেপির উত্থানে তৃণমূল ভয় পেয়েছে, তাই এ সব নোংরামো করছে। তৃণমূলের লোকজনই ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে  ‘স্ক্রিনশট’ বেশি পোস্ট করছে। এতেই স্পষ্ট, এটা কাদের চক্রান্ত।’ তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তীও। তবে এই দাবি নস্যাত্‍ করে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায় পাল্টা বলেন, ‘তৃণমূল এই সমস্ত নোংরামোর মধ্যে থাকে না। উপযুক্ত তদন্ত হোক।’

রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তাই কিছু বলতেও পারব না।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রথমে বলেন, ‘এটা ওঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার, ওঁকেই জিজ্ঞাসা করুন।’  দিলীপ বলেন, ‘সমাজ এ সব বিষয়কে যে দৃষ্টিতে দেখে, দলও সেই দৃষ্টিতেই দেখে। দল কথা বলে দেখবে, অভিযোগ সত্য কি না।’ ফলে সব মিলিয়ে এখন বিজেপি সংসদ যে বড়সড় চাপে পড়লো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!