এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রশান্ত কিশোরের স্ট্র্যাটেজিতে আদতে লাভ বিজেপির? চমকে দেওয়া জল্পনায় সরগরম রাজ্য-রাজনীতি!

প্রশান্ত কিশোরের স্ট্র্যাটেজিতে আদতে লাভ বিজেপির? চমকে দেওয়া জল্পনায় সরগরম রাজ্য-রাজনীতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ –দুই মেরুর দুটি বিপরীত দল। দুজনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়েছে। তবে এক দলের শুদ্ধিকরণে লাভ হবে নাকি আরেক দলের! হ্যাঁ, শুনতে খটকা লাগলেও, এটাই বাস্তব। বর্তমানে তৃণমূলে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রশান্ত কিশোরের টিম চেষ্টা করছে, রাজ্যের কোন এলাকায় তৃণমূলের কোন নেতা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাদের বিরুদ্ধে দলের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়ে সেই সমস্ত নেতাদের সরিয়ে দিতে।

অর্থাৎ আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে প্রশান্ত কিশোরের টিমের এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কখন কার ডানা ছাটা হবে, তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় রয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূলের এই শুদ্ধিকরণ আদতে তাদের অনেকটাই লাভবান করবে। কিন্তু কেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা তৃণমূলে জায়গা পাবেন না, তারা এবার যোগ দেবেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যার ফলে বিজেপির শক্তি রাজ্যে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যেই বিজেপি তৃণমূলের ঘর ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, বিধায়কদের নিজেদের দিকে আনতে রীতিমত কৌশল সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই পরিস্থিতিতে দলকে না ভেঙে যাতে দলে স্বচ্ছতা আনা যায়, তার জন্য পাল্টা কৌশল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে যদি প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগে তৃণমূল দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের একের পর এক সরাতে শুরু করে, তাহলে দলের অন্দরে অনেকেই বিক্ষুব্ধ হতে শুরু করবেন‌। আর সেই সমস্ত বিক্ষুব্ধ নেতারা যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক দলকে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হবে বলেই দাবি করছেন বিশ্লেষকরা।

বস্তুত, ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সে জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে দলের কেউ যাতে বিক্ষুব্ধ হয়ে অন্য দলে না যান, তার জন্য জানিয়ে দিয়েছেন যে, আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যারা বর্তমান বিধায়ক, তারা প্রত্যেকেই টিকিট পাবেন। অর্থাৎ দল যাতে না ভাঙ্গে, তার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বার্তা দিয়ে সকলকে দলে রাখার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও যদি দলের পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে প্রশান্ত কিশোরের ফর্মুলা মত তৃণমূল নেতৃত্ব পদক্ষেপ নিতে শুরু করে, তাহলে অনেকেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবেন। যার প্রভাব পড়বে তৃণমূল কংগ্রেসে বলে এক প্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তাই এই অবস্থায় বিজেপি অংক কষতে শুরু করেছে যে, তৃণমূলের সেই সমস্ত বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের যদি নিজেদের দলে নিয়ে আসা যায়, তাহলে রাজ্যে 2021 সালে পরিবর্তন ঘটানো খুব একটা অসম্ভব ব্যাপার হবে না।

ফলে সেদিক থেকে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের শুদ্ধিকরণ করলেও, এই ব্যাপারটিকে নিজেদের লাভ বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপির এই সমীকরণ কতটা সাফল্য পায়, প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের স্বচ্ছতা ফেরাতে উদ্যত হলেও, বিক্ষুব্ধরা আদৌ ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখায় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!