এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > তীব্র অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে! প্রভাবশালী দলীয় নেতাদের দুর্নীতি-ক্ষোভে ফুটছেন বিজেপি কর্মীরা!

তীব্র অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে! প্রভাবশালী দলীয় নেতাদের দুর্নীতি-ক্ষোভে ফুটছেন বিজেপি কর্মীরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপি 2021 সালে বাংলা দখলকে টার্গেট করেছে। কিন্তু এর জন্য তাদেরকে সংগঠনকে অনেকটাই শক্তিশালী করতে হবে। কিন্তু সেই সংগঠন শক্তিশালী করা অপেক্ষা এখন দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল সবথেকে বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে কাটোয়ায় জেলা বিজেপির সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করছিলেন বিজেপির একাংশ।

শুক্রবার আবার অস্বস্তিতে পড়েন সেই কৃষ্ণ ঘোষ। জানা যায়, এদিন কাটোয়ার একটি অনুষ্ঠানে কালোপতাকা দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠিত করা হয়। আর শনিবার কালনার বৃদ্ধপাড়া মোড়ে দলের রাজ্য সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই কৃষ্ণ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে শুরু করেন বিজেপির বেশকিছু নেতাকর্মী। আর এই গোটা ঘটনায় রাজ্যের নেতার কাছে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্ব সহ অন্যান্য কর্মীরা অভিযোগ তোলায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে গেরুয়া শিবির।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন পূর্বস্থলীর নাদনঘাট, কালনার বেগপুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজেপির পক্ষ থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান কর্মসূচি নেওয়া হয়। আর সেখানেই যোগ দিতে আসেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়‌। তাকে নিয়েই কাটোয়া জেলা বিজেপি সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ পূর্বস্থলী ও কালনার গ্রাম পরিদর্শন করেন। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় আসার খবর পেয়ে বিজেপির বেশকিছু নেতাকর্মী দুপুর 12 টা থেকে কালনা 1 ব্লকের বৃদ্ধপাড়া গ্রামের মোড়ে জড়ো হন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তাদের হাতে দলীয় পতাকার পাশাপাশি কালো পতাকা ছিল। প্রতাপবাবু পৌঁছতেই জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতিপরায়ন অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি, গত লোকসভা ভোটে 26 লক্ষ টাকা এবং অমিত শাহের কর্মসূচির জন্য তিন লক্ষ টাকার হিসাব এখনও পর্যন্ত জেলা সভাপতি দেননি। এছাড়াও ভয়াবহ দুর্যোগের সময় দলের পক্ষ থেকে ত্রাণ পাঠানো হলেও, তার কোনো হিসাব নেই।

আর রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দলের কর্মীরা এভাবে প্রতিবাদ করায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েন প্রতাপবাবু। গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকদের শান্ত করেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে তিনি বলেন, “ক্ষোভ থাকতেই পারে। তবে তা জানানোর পদ্ধতি রয়েছে। যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তারা দলের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী হয়ে থাকলে শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কিন্তু তার বিরুদ্ধে যেভাবে রাজ্য নেতার সামনে অভিযোগ করা হল, তাতে কি চিনি অস্বস্তিতে পড়লেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে কাটোয়া জেলা বিজেপির সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, “যাদের বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে, তারা বিজেপির লোক নয়। বিজেপিকে হেয় করার জন্য শাসকদল ষড়যন্ত্র করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই বিষয়টির কোনো গুরুত্ব নেই।” এদিকে গোটা ঘটনায় কৃষ্ণবাবু তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুললেও, তাকে অস্বীকার করেছে শাসকদল।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর দেবু টুডু বলেন, “বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে যারা দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন, তারা আমাদের কেউ না। ওদের নিজেদের মধ্যে টাকার ভাগ নিয়ে গণ্ডগোল। বিজেপিতে যে কোনো শৃঙ্খলা নেই, এসব ঘটনা তারই প্রমাণ।” তবে যাই হোক না কেন, এই বিক্ষোভের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুন না কেন, যেভাবে বিজেপি নেতার সামনে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হল, তাতে বিজেপি যে অনেকটাই চাপে পড়ল, তাতে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!