প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে এসেই প্রাণ হারালেন কোচবিহারের শীতলকুচির এক বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তিনি বিজেপির সমর্থক, বিজেপিও তাকে নিজেদের কর্মী বলেই দাবি করেছে। তবে, তৃণমূলের দাবি, বিজেপি নয় তিনি তৃণমূলের সমর্থক। আজ ভোট দিতে এসেই গুলি লেগে মৃত্যু হল শীতলকুচির বাসিন্দা আনন্দ বর্মনের, যার বয়স ১৮ বছর।

বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, আজ সকালে ভোটদান পর্ব শুরু হতেই, বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছিল বিজেপি কর্মীদের। একাধিক বুথে চলছিল অশান্তি। শীতলকুচির পাঠানটুলির ৮৫ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্ট আনন্দ বর্মনকে জোর করে বের করে দেয় তৃণমূল। এরপর আনন্দ বর্মনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়, ছোড়া হয় বোমা। গুলি লেগে আহত হন তিনি। ঘটনায় বেশ কিছু মানুষও আহত হয়েছেন।

শেষ পর্যন্ত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে । আহত অবস্থায় আনন্দ বর্মনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। তবে, আনন্দ বর্মনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তিনি বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন না, সমর্থক ছিলেন। প্রথমবার তিনি ভোট দিতে গিয়েছিলেন। ভোটের লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় তাঁর ওপর গুলি চালানো হয়েছিল। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছে। ঘটনার পরেই রিটার্নিং অফিসারকে ফোন করে নির্বাচন কমিশন। আনন্দ বর্মনের অকালমৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর পরিবার। ঘটনায় স্তব্ধ সমগ্র এলাকা। ঘটনার পর তৃণমূল-বিজেপির প্রবল সংঘর্ষ বাধে। তবে, তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেছেন যে, আনন্দ বর্মন তাঁদেরই দলের কর্মী, বিজেপি সন্ত্রাস ছড়াবার চেষ্টা করছে এলাকায়।