এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পুজোর মুখে বড়সড় ধাক্কা রাজ্য সরকারি কর্মীদের! প্রশাসনের এই ঘোষণায় মাটি হতে চলেছে পুজোর আনন্দ

পুজোর মুখে বড়সড় ধাক্কা রাজ্য সরকারি কর্মীদের! প্রশাসনের এই ঘোষণায় মাটি হতে চলেছে পুজোর আনন্দ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতি মোটেই স্বস্তিজনক নয় সে কথা সবার জানা। আর সেদিকে নজর দিয়েই এবছর নবান্ন থেকে কড়া নির্দেশ পুজোর ছুটি নিয়ে। প্রতিবছরই সরকারি কর্মীদের ষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে যায় পুজোর ছুটি, চলে প্রায় লক্ষ্মীপূজো পর্যন্ত। বলা যেতে পারে মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রত্যেক বছরই দরাজহস্ত থাকেন। সরকারি কর্মীদের এই বিপুল ছুটি পাওয়া অবশ্য বিতর্ক কম হয়না। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বদল এনেছে সর্বক্ষেত্রে। এবছর দুর্গাপূজা শুরু হয়ে গেলেও নবান্ন থেকে নির্দেশ এসেছে, সরকারি সমস্ত ক্ষেত্রের ছুটি বাতিলের।

ষষ্ঠী থেকে দশমী- যাতে সবাই পরিষেবা পায় সে ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। আর সেদিকে নজর দিয়ে এবছর হুগলিতে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত সমস্ত শ্রেণীর সরকারি কর্মী এবং আধিকারিকদের ছুটি বাতিল হয়েছে। আর এই নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। প্রত্যেক বছরই এমনিতে স্বাস্থ্য, দমকল, জল, বিদ্যুৎ, বিপর্যয় মোকাবিলার মতন জরুরি দপ্তরগুলি পুজোর সময় একইভাবে কাজ করে যায়। অন্যান্য দপ্তরগুলি চলে যায় ছুটির মেজাজে।

কিন্তু এ বছর সংক্রমণ বেড়ে চলার সাথে সাথে নবান্ন থেকে প্রশাসনের সর্বস্তরে নির্দেশ এসেছে মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছানো জরুরী, আর সেকারণেই ছুটি বাতিল। একইভাবে হুগলির জেলাশাসক জানিয়েছেন, এবছর পূজোর ছুটি থাকছেনা। মানুষকে পরিষেবা দিতেই ছুটি বাতিলের ঘোষণা। গাইডলাইন মেনে এবছর সমস্ত সরকারি কর্মী এবং আধিকারিকদের কাজ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। একইভাবে ব্লক অফিস এবং পঞ্চায়েত অফিস খোলা থাকবে এবছর। প্রত্যেক পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানদের হাজির থাকতে হবে। পুরসভাগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম চলবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মোবাইলে যদি কোনো রকম সরকারি নির্দেশিকা আসে, তা রূপায়ণের ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের কর্মী এবং অফিসারদের যাতে পাওয়া যায়, সে কারণেই নবান্ন থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এবছর সংক্রমণ আটকাতে নজিরবিহীন রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতার এবং জেলার গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপগুলিকে করে দেওয়া হয়েছে কনটেইনমেন্ট জোন। খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষের ভিড় এবার অন্যান্যবারের তুলনায় রাস্তায় কম চোখে পড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রশাসন এবং আদালতের রায়ের নির্দেশ মেনে চলা যায় তাহলে কিন্তু পুজোর পরে যে অতিমারির আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা বিফল হবে। অন্যদিকে সরকারি কর্মী মহলে কিন্তু মোটেই আনন্দ নেই বলে দাবি অনেকের। কারণ পুজোর ছুটিতে রাস্তায় বের না হলেও অনেকেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান এইসময়। এবছর সেই পরিকল্পনাও সরকারি নির্দেশে বাতিল হল।পুজোর ছুটি বাতিল হলেও পরবর্তীতে এই ছুটি পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে অবশ্য এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার। আপাতত পরিষেবা প্রদানে যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন তা সরকারি কর্মচারী এবং আধিকারিকদের ছুটি বাতিলেই স্পষ্ট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!