এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভুল বুঝিয়ে পুরোহিতদের হাতে তৃণমূলের সংগঠনের পতাকা ধরানো হতেই ক্ষোভে ফুঁসছে উত্তরবঙ্গ!

ভুল বুঝিয়ে পুরোহিতদের হাতে তৃণমূলের সংগঠনের পতাকা ধরানো হতেই ক্ষোভে ফুঁসছে উত্তরবঙ্গ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এক সময় সরকারের পক্ষ থেকে মুসলমানদের ইমামদের ভাতা দেওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সরকার তোষণের রাজনীতি করছে। তাই সংখ্যালঘুদের ভোট পাওয়ার জন্য ইমামদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেন পুরোহিতরা বঞ্চিত, তা নিয়ে বিরোধীরা রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি ব্রাহ্মণদের জন্য পুরোহিত ভাতার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে মাসে তাদের হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানান তিনি। যার জেরে পুরোহিত সমাজের মনে ব্যাপক উচ্ছাস সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এবার সেই পুরোহিতদের হাতে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দেওয়া নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হল।

সূত্রের খবর, গত 19 সেপ্টেম্বর রায়গঞ্জে বেশকিছু পুরোহিতের হাতে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পতাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছিলেন, পুরোহিত ভাতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করার পর সেই ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা এবার ধীরে ধীরে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করলেন। যার জেরে তৃণমূলের হিন্দু ভোট অনেকটাই শক্তিশালী হল। কিন্তু এর কিছু সময় পেরোতে না পেরোতেই ঘটে গেল এক অন্যরকম ঘটনা। জানা গেছে, তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার রায়গঞ্জ শহরের বন্দর কালী মন্দিরের পুরোহিতরা জমায়েত করেন। আর সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলন করে গোটা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের। আর এই ঘটনাতেই ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতিনিধিদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী পুরোহিত ভাতা ঘোষণা করার জন্য 19 সেপ্টেম্বর তারা সেই ঘোষণাকে স্বাগত জানাতে সেখানে সমবেত হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাদের ভুল বুঝিয়ে শ্রমিক সংগঠনের পতাকা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর তৃনমূলের বিরুদ্ধে পুরোহিতরা এই ধরনের বিস্ফোরক অভিযোগ করায় এখন ব্যাপক চাপে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। তাহলে কি শুধুমাত্র ভুল বুঝিয়ে এই সমস্ত পুরোহিতদের লোক দেখানোর জন্য নিজেদের দলে যোগদান করে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস? কিন্তু এখন যেভাবে সেই সমস্ত পুরোহিতরা মুখ খুলতে শুরু করলেন, তাতে তো তৃণমূল আরও চাপে পড়ল!

এদিন এই প্রসঙ্গে রায়গঞ্জের পুরোহিতদের সংগঠনের তরফে রতন চক্রবর্তী বলেন, “আমরা কোন একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি না। আমরা সব মানুষের কাজ করে থাকি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে কোনো একটি দলের ছাতার নীচে আমরা আসতে পারি না।” কিন্তু কেন তারা তাহলে ভুল বুঝিয়ে পুরোহিতদের ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে দলে যোগদান করালেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অরিন্দম সরকার বলেন, “পুরোহিতরা সংঘবদ্ধভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। তারা কোনো নির্দিষ্ট দল করবেন, সেটা কেউ চায়নি। তারা মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তার পক্ষে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন। আমার সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তবে সেদিন আমাদের সংগঠনের আলাদা করে কর্মসূচি ছিল না। পুরোটাই পুরোহিতদের সিদ্ধান্ত ছিল। তারা নিজেরাই হাতে পতাকা তুলে নিয়েছিলেন। তাই পতাকা নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কোনো জায়গা নেই।”

তবে অরিন্দমবাবু যে কথাই বলুন না কেন, পুরোহিত সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের হাতে ভুল বুঝিয়ে পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ করলেন, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা হলেও বিপাকে পড়ল বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা ঘটনা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পুরোহিতদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা এই ঘটনাকে অস্ত্র করে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে ময়দানে নামে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!