পুরনো তৃণমূল ভবন ভেঙে ফেলার আগেই তাঁকে স্মৃতিতে ধরে রাখার ব্যাবস্থা পাকা কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 14, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগেই শোনা যাচ্ছিল, তপসিয়ার তৃণমূল ভবনটির আমূল পরিবর্তন হবে। সেই অনুযায়ী পুরনো ভবন ভেঙে তৈরি হচ্ছে নতুন ভবন ইএম বাইপাসের ধারে। তৃণমূল ভবনের নতুন বাড়ি ঘিরে ইতিমধ্যেই কৌতুহল তুঙ্গে। জানা যাচ্ছে এই বাড়িটি অন্তত চার-পাঁচ তলা হবে। অ্যানেক্স বিল্ডিং এর পাশাপাশি কনফারেন্স হল থাকবে বেশ কয়েকটি। নেতাদের জন্য যেমন বেশ কয়েকটি ঘর থাকবে, সেরকম যেসব নেতারা দূর-দূরান্ত থেকে আসেন, তাঁদের থাকার জায়গাও তৈরি হবে। একইসাথে পার্কিং লট ও ক্যান্টিন থাকবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে পুরনো তৃণমূল ভবনটি ইতিমধ্যেই ভাঙাচোরার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে পুরনো এই তৃণমূল ভবনটি বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। কার্যত পুরনো তৃণমূল ভবন থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদিনের কর্মসূচির সূত্রপাত হয়। অন্য নেতৃত্ত্বের আনাগোনা, নানান নির্বাচনী প্রস্তুতি, নতুন নেতৃত্বের তৈরি হওয়া, অন্য দল থেকে যোগদান, দলের একাধিক বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে এই বাড়িতে। বলা যায়, দলের বিভিন্ন সময়ের চাপানউতোরের সাক্ষী পুরনো তৃণমূল ভবন। তাই নতুন ভবন তৈরির পাশাপাশি পুরনো ভবনটি ভেঙে ফেলার আগেই স্মৃতি ধরে রাখতে উদ্যোগী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত তিনি একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র বানাচ্ছেন তৃণমূলের পুরনো ভবন ঘিরে। কার্যত পুরো ভবনের ভিডিওগ্রাফি ইতিমধ্যেই করে ফেলা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি সদ্য পুরনো তৃণমূল ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া একটি লক্ষ্মী পেঁচাও স্থান পেয়েছে এই তথ্যচিত্রে। পুরনো তৃণমূল ভবন ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরি করতে বেশ কিছুটা সময় যাবে। আপাতত ততদিন পর্যন্ত পুরনো বাড়ির পাশেই একটি অস্থায়ী কাঠামো বানানো হয়েছে, যেখানে তৃণমূল অফিস তৈরি হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, পুরনো ভবনে সবসময়ই তৃণমূল শীর্ষনেতাদের কাউকে না কাউকে দেখা যেত। অফিস ঘর, শাখা সংগঠনের নেতৃত্বে ঘর, হলঘর, একই সাথে শাখা সংগঠনের ঘরের পাশে তৃণমূল নেত্রীর অফিসঘর এবং তিনতলায় তাঁর দুটি থাকার ঘর ছিল। এমনকি তৃণমূল নেত্রীর ইষ্টদেবতারাও তৃণমূল ভবনে অধিষ্ঠান করছিলেন। বাড়ি ভাঙার জন্য তাঁদেরকেও এখন কালীঘাটের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে পুরনো তৃণমূল ভবনটি তথ্যচিত্রের আকারে কিভাবে উপস্থাপিত হবে তা নিয়ে কিন্তু কৌতুহল বাড়ছে অনেকেরই। কার্যত একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে প্রত্যেক বছরই পুরনো দিনের আন্দোলনের ছবি কিংবা ভিডিও প্রকাশ্যে দেখা যায়। এ বছর কি তাহলে পুরনো তৃণমূল ভবনে ভিডিওগ্রাফি জায়গা পেতে চলেছে স্মৃতির স্মরণিকায়? সে দিকেই লক্ষ্য ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -