ইতিমধ্যেই কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, আলিপুর আদালতও এই রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে সিবিআই। আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, তা জানতেই এদিন বৈঠকে বসেন সিবিআই আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে এবার সিবিআই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। কলকাতার এই প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই তাকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছেন তারা। ফলে সিবিআইয়ের তরফে রাজীব কুমারের খোঁজ পাওয়ার জন্য যে আরও ব্যাপক তল্লাশি চালানো হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

এদিকে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও এই রাজীব কুমারের খোঁজে তল্লাশি চালায় সিবিআই। জানা যায়, এদিন সিবিআইয়ের তিনটি দল তিন ভাগে ভাগ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দেয়। কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা আইপিএস রাজীব কুমারের পার্ক স্ট্রিটের বাড়িতে পৌঁছে যান। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চার আধিকারিক তাঁর বাড়িতে যান। তবে শুধু পার্ক স্ট্রিটেই নয়, সিবিআইয়ের একটি টিম যায় ইবজা রিসর্টেও। জানা যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই ইবিজা রিসর্টেও রাজীব কুমারের খোঁজ করা শুরু হয়। সেখানে গেস্ট লিস্ট ঘেঁটে দেখা হয় যে রাজীব কুমার নামে কোনও অতিথি এসেছেন কিনা।

অন্যদিকে অন্য একটি টিম রায়চকের বিভিন্ন হোটেলেও হানা দেয়। মোট ৬টি জায়গায় একসঙ্গে চলে তল্লাশি। এছাড়াও শান্তিনিকেতন বিল্ডিং এবং সিদ্ধা অ্যাপার্টেমেন্টেও তল্লাশি চালানো হয়। তবে রাজীব কুমারের ফোনের সুইচ অফ থাকায় তাঁর টাওয়ার লোকেশনও খুঁজে বের করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে সিবিআই আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নেন যে যেখানেই দেখা যাবে রাজীব কুমারকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হবে। সব মিলিয়ে এবার কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে গ্রেপ্তার করতে আদালতের নির্দেশ পেয়েই আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে সিবিআই আধিকারিকরা।