এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার সরকার গোপনে বেচে দিচ্ছে একের পর এক সরকারি সম্পত্তি! শুভেন্দুর বিস্ফোরক অভিযোগে ঝড়!

মমতার সরকার গোপনে বেচে দিচ্ছে একের পর এক সরকারি সম্পত্তি! শুভেন্দুর বিস্ফোরক অভিযোগে ঝড়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রের বিভিন্ন সংস্থা বিক্রি হয়ে যাওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে বিভিন্ন সময় আঙ্গুল তোলে বিরোধীরা, যার মধ্যে তৃণমূল অন্যতম। কিন্তু এবার রাজ্যের শাসক সরকারের বিরুদ্ধে বড়োসড়ো অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কার্যত বিধানসভায় চলছে বাজেট অধিবেশন। আর সেই অধিবেশনেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে একের পর এক তোপ দাগলেন রাজ্য সরকারের প্রতি। একইসাথে রাজ্যের পেশ করা বাজেট নিয়েও তিনি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একাধিক ত্রুটি তুলে এনেছেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পেশ করা বাজেট থেকে।

আজকে বিধানসভার অধিবেশনে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরুদ্ধে বড়োসড়ো অভিযোগ এনে বলেন, দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের জমি বিক্রি করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কাগজপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। একইসাথে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, আইন মন্ত্রি মলয় ঘটক এবং মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিদেবী একের পর এক বৈঠক করছেন। আর এই কাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এদিন বিধানসভায় বললেন, দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের জমি, হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারকে সমস্ত বেচে দেওয়ার কারণে কেন দোষারোপ করা হবে বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন।

অন্যদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের ত্রুটি তুলে ধরেছেন আজ বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে তিনি বলেন, কর যদি ঠিকঠাকভাবে আদায় করা যায়, তাহলে রাজ্যেরই উন্নয়ন হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের কারণে বেকার সমস্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক সেভাবেই জিডিপি বৃদ্ধি আটকে গেছে। একইসাথে পরিবহণ এবং শিল্প ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরো বলেন, রাজ্যের মাথায় 1 লক্ষ 84 হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা। যা এখন ছাড়িয়ে গিয়েছে আরও বেশি। রাজ্যের বেহাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বিরোধী দলনেতা সেদিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে রাজ্য সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ডিপিএস এর গত এক দশক ধরে প্রতিবছর প্রায় 200 কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। সেক্ষেত্রে 2000 কোটি টাকার ঘাটতি মেটাতে এবং সংস্থাটিকে আবারো পুনরুজ্জীবিত করতে জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ প্রকল্পটির বেশ কয়েকটি ইউনিট বন্ধ হয়ে থাকায় দুর্গতি আরো বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এত অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও বিপিএলের একজন কর্মচারীরও চাকরি যায়নি।

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভর্তুকি দিয়ে সংস্থা চালানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে জমি বিক্রি করে পরিস্থিতি সামলানোর কাজ চলছে। অর্থনৈতিকভাবে ধুঁকতে থাকা এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটিকে নতুন করে চালু করার জন্যই একের পর এক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে জমি বিক্রি করে পরিস্থিতি আদৌ সামলানো যাবে কিনা তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থাকছে। আর সেই বিতর্ককে আজকে বিধানসভায় আরও উস্কে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!