এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বাংলায় হারতেই একের পর এক হেভিওয়েটের দলত্যাগ! এর মাঝেই দিলীপের বিস্ফোরক দাবি চমকে দিল সকলকে!

বাংলায় হারতেই একের পর এক হেভিওয়েটের দলত্যাগ! এর মাঝেই দিলীপের বিস্ফোরক দাবি চমকে দিল সকলকে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে গেরুয়া শিবিরের ব্যাপক ভাঙন লক্ষ্য করা গেছে। যে ভাঙন এখনো প্রতিনিয়ত চলছে। কার্যত গেরুয়া শিবিরের বড়োসড়ো ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন ইতিমধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। এরপর থেকে গেরুয়া শিবিরে একের পর এক নেতা বেসুরো হয়ে উঠছেন। অনেকেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের যাবার কথা বলছেন। স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের সংগঠন নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। একইসাথে মতুয়াদের নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আর সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন এবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ আজকে অশোকনগরে একটি দলীয় সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। আর সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। বেশ কিছুদিন ধরে যেভাবে গেরুয়া শিবিরের সংগঠনে ভাঙনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যারা অন্য দল থেকে এসেছে আগে, তাঁরাই ফিরে যাচ্ছেন। গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধ্রার কোনোও প্রশ্নই নেই। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও জানিয়েছেন, অন্য দল থেকে এসে যারা বিজেপির সাথে নিজেদের মেলাতে পারেননি, তাঁরাই দল ছাড়ার পথে কিংবা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের ওপর কোনো প্রভাব পড়ছেনা।

পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, বুথ স্তরের বিজেপির সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী এখনো। এবং আগামীদিনে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার দিকে দল এগোবে। তবে সেক্ষেত্রে পুরভোট কিংবা পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি যে উল্লেখযোগ্য ফলাফল করতে চলেছে, তা নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী শোনালো আজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। অন্যদিকে মতুয়াদের নিয়ে আজকে মুখ খুলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। কার্যত মতুয়াদের সংগঠনের অন্যতম নেতা শান্তনু ঠাকুরকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এরপর প্রশ্ন ওঠে মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সিএএ আইন কার্যকর করতে দেন রাজ্যে, তাহলে মতুয়াদের পক্ষে এই আইন কার্যকর হবে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্র কি এই আইন প্রচলন করতে রাজ্যের মুখাপেক্ষী? খুব সতর্কভাবে দিলীপ ঘোষ এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন, বর্তমানে দেশজুড়ে চলছে করোনা অতিমারী পরিস্থিতি। সেই পরিস্থিতির উন্নতি হলেই রাজ্যে সিএএ আইন কার্যকর হবে মতুয়াদের জন্য। এই আইন কার্যকর হওয়া যে অত্যন্ত জরুরী সে কথা বলেন তিনি।

খুব স্বাভাবিকভাবেই আজকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেভাবে দলের সংগঠনে ভাঙন সংক্রান্ত বিতর্ক এড়িয়ে গেলেন, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। কার্যত গেরুয়া শিবিরের ভাঙন কিন্তু সর্বত্রই চোখে পড়ছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে যেখানে বিজেপির শক্তিশালী সংগঠন, সেখানেও সংগঠনে ভাঙন ধরেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সেক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপি সভাপতি হয়ত এই বিতর্ককে ধামাচাপা দিতে চাইছেন। পাশাপাশি কর্মীদের মনোবল যাতে ভেঙে না পড়ে সে চেষ্টাও করে চলেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!