রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আরও একবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হলেন, বিতর্ক তুঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশেষ খবর রাজ্য June 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবারও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। গত সাত দিন যাবত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর উত্তরবঙ্গ ভ্রমণে ছিলেন এবং কলকাতা ফেরার আগে জিটিএ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যপালের এই অভিযোগ রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন যাবৎ অডিট হয়নি জিটিএ র। তাই তিনি এবার ক্যাগকে দিয়ে অডিট করানোর পরিপন্থী। পাশাপাশি পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়েও তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। রাজ্যপালের অভিযোগ, বছরের পর বছর চলে গেলেও পাহাড়বাসীর কোন উন্নয়ন করেনি জিটিএ। প্রসঙ্গত, 2017 সালে বিমল গুরুংয়ের আবেদন মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিটিএ তৈরীর গ্রিন সিগন্যাল দেন। সেই অনুযায়ী জিটিএ তৈরী হয়। জিটিএ কি দায়িত্ব পালন করবে, তাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই ঠিক হয়। অন্যদিকে অন্যান্য প্রশাসনিক সংগঠনের মতন জিটিএ দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্বাচিত হয়ে আসার কথা। কিন্তু 2017 সালের পর থেকে বিভিন্ন জটিলতার কারণে সেখানে নির্বাচন হয়নি। বরং জিটিএ চেয়ারম্যানের দায়িত্বে একের পর এক বিমল গুরুং, বিনয় তামাং কিংবা অনীত থাপাকে দেখা গিয়েছে। তবে বর্তমানে সেখানে প্রশাসক বোর্ড কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে সাত দিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। দার্জিলিংয়ের রাজভবনে তাঁর সঙ্গে এই সফরকালে দেখা করেন সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, পাহাড়ে কোনো উন্নয়ন হয়নি এই কয় বছরে, এমনকি জিটিএ র কোনো অডিটও হয়নি। রাজ্যপালের অডিট করানোর দাবীকে উল্লেখযোগ্যভাবে সমর্থন করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শিলিগুড়িতে কার্যালয় বৈঠকের পর দিলীপ ঘোষের দাবি, রাজ্যপাল যা বলেছেন, সেই অনুযায়ী অবশ্যই কাজ করা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের টাকা যেভাবে নয়ছয় হচ্ছে, তা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে জিটিএ নিয়ে রাজ্যপাল যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন, তা মোটেই মানতে রাজি নয় জিটিএ এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা মোর্চার নেতা অনীত থাপা। তিনি দাবি করেছেন, প্রতিবছর অডিট হওয়ার পর পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ হয়েছে। একই সাথে তিনি রাজ্যপালকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়ে অডিট করার ব্যাপারে। তবে রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক প্রধান। সেক্ষেত্রে অডিট করানো মতন এক্তিয়ার তাঁর আছে কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যপাল শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাতে পারেন অডিটের জন্য। এর বেশি আর কিছুই করতে পারেননা, কারণ তা সংবিধান বিরোধী। অন্যদিকে রাজ্যপালের অডিট মন্তব্যের পর ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি রাজ্যপালকে একের পর এক আক্রমণ করেছেন চড়াসুরে। স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে রাজ্যপাল এবং রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে আরো একবার বড়োসড়ো লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন রাজনীতির কারবারিরা। আপনার মতামত জানান -