এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের স্কুল সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য হলফনামার আকারে পেশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

রাজ্যের স্কুল সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য হলফনামার আকারে পেশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের স্কুল সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য হলফনামার আকারে আদালতের কাছে পেশ করার নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট। সম্প্রতি, রাজ্যের একাধিক স্কুলে শিক্ষকের অভাব, ব্যাপকহারে স্কুলছুটের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন শুভ্র প্রকাশ লাহিড়ী নামে এক ব্যক্তি। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, স্কুলের ব্যাপারে সমস্ত তথ্য হলফনামার আকারে জমা দিতে হবে রাজ্যকে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।

এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের সমস্ত স্কুলের ছাত্র ও শিক্ষকের সুনির্দিষ্ট অনুপাত থাকা প্রয়োজন। সমস্ত ক্ষেত্রে সমবন্টন ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। আদালতের পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি স্কুলে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। ছাত্র-শিক্ষকের যে অনুপাত থাকা প্রয়োজন, অনেক স্কুলের ক্ষেত্রেই তা নেই। রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুলের ক্ষেত্রে ছাত্র ও শিক্ষকের সমবন্টনে ঘাটতি রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই পরিস্থিতিতে স্কুলে কিভাবে পড়াশোনা চলছে? ছাত্র-ছাত্রী পিছু কতজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্কুল আছেন? স্কুলে কতগুলি পিরিয়ড হচ্ছে? কত জন ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে উপস্থিত হচ্ছে? এই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে হলফনামাতে পেশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কিছুদিন আগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন শুভ্র প্রকাশ লাহিড়ী। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের বেশ কিছু স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় অনেক কম রয়েছে শিক্ষক। শিক্ষক না থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে। ফলে সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রপ আউটের। তিনি বাঁকুড়া, আসানসোলের তিনটি স্কুলের বেহাল অবস্থার কথা আদালতে জানিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেছিলেন এই স্কুল গুলোর মধ্যে একটি স্কুলে কিছু পরিমাণ শিক্ষক রয়েছে, বাকি স্কুলগুলিতে শিক্ষক সংখ্যা একেবারেই কম। পূর্ণ সময় শিক্ষক নেই, প্যারাটিচার দিয়ে পঠন-পাঠন চলছে। যে স্কুলের শিক্ষকের সংখ্যা বেশি, সেখানেই ছাত্র-ছাত্রী যাচ্ছে। অথচ বাড়ির কাছের স্কুলগুলিতে শিক্ষক না থাকার কারণে ছাত্র সংখ্যা অত্যন্ত কম। কিছু স্কুলের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, স্কুল গুলি বন্ধের অবস্থায় চলে গেছে। স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হল শিক্ষকের অভাব। এই অবস্থার প্রতিকার চেয়ে ছিলেন তিনি আদালতের কাছে। আদালতে এই মামলা গৃহীত হয় ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!