এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অনুব্রত-গড়ে উন্নয়ন – রামপুরহাটে স্থায়ী বাজার তৈরিতে বরাদ্দ পৌনে ২ কোটি

অনুব্রত-গড়ে উন্নয়ন – রামপুরহাটে স্থায়ী বাজার তৈরিতে বরাদ্দ পৌনে ২ কোটি

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! তৃণমূলের উন্নয়নের জোয়ারে হাল ফিরতে চলেছে রামপুরহাট বাজারের। প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এই বাজারের সংস্করণে। এমনটাই এদিন রামপুরহাট পুরসভার কনফারেন্সে হলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এ খবর শুনে রীতিমতো উচ্ছ্বাস ফেটে পড়ল স্থানীয় ব্যবসায়ীমহলে।

তবে আপাতত মার্কেট গড়ে তোলার জন্যে ব্যবসায়ীদের পাশের পুরসভা মাঠে বসতে বলা হয়েছে। বাজারের স্থায়ী নির্মাণ গড়ে তুলতে এখনো আট মাস সময় লাগবে বলেই জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।আসলে পুজোর মুখে বাগরি মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন৷ দ্বিতীয় বাগরি মার্কেট কান্ড রাজ্যে আর দেখতে চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ওই দুর্ঘটনার পর সমস্ত রাজ্যেরই বড় বড় মার্কেটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন নেত্রী।

তারপরই সামনে আসে অনুব্রত গড়ের রামপুরহাট বাজারের বেহাল দশা। সরু রাস্তার দুপাশে এলোমেলো করে রাখা বস্তার স্তূপ, লাইটপোষ্ট গুলো থেকে বিপজ্জনক ভাবে ঝোলা তার আর তার ঠিক নীচে এবং আশেপাশ রাস্তা দখল করে সার দিয়ে পসরা সাজিয়ে চলছে দাহ্য দ্রব্য,কাপঠ,লাইনের দড়ি বিক্রি। এছাড়া সংকীর্ণ রাস্তার দুপাশে বসেন সব্জি বিক্রেতারা।

দীর্ঘদিন ধরেই এই অসচেতনতার সঙ্গেই ব্যবসা চলছে ব্যবসায়ীরা। নিত্যদিন হাজার হাজার মানুষ নানান প্রয়োজনে এই বাজারে আসেন। অথচ বাজারে নেই কোনো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। শুধু তাই নয়,হাটতলায় দমকলোর গাঈি ঢোকানোর মতো রাস্তা নেই বলেও অভিযোগ রয়েছে অনেকের। বাগরি মার্কেটের বীভৎস অগ্নিকান্ডের পর বীরভূমের এই মার্কেটের হাল ফোরাতে মরিয়া প্রশাসন।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গিয়েছে কৃষিদপ্তরের। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরএমসির কর্মকর্তারাও। তিনি জানান,মুখ্যমন্ত্রীর সার্বিক উন্নয়নের মধ্যে অন্যতম হল হাট-বাজারগুলির উন্নয়ন। মোট ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যায় করে তৈরি হতে চলেছে নতুন বাজার।ব্যবয়াসীদের বসার জন্যেও পাকা ঘর নির্মাণ করেও ঢেলে সাজানো হবে বাজার। এছাড়া থাকবে পর্যাপ্ত পানীয় জল ও টয়লেটের ব্যবস্থা। ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনও দেওয়স হবো।

তবে এই হাট নির্মানের জন্যে আটদিনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের জায়গা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন,এমনটাই জানালেন পুরসভার চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারি। কারণ জায়গা পুরোপুরি ফাঁকা না হলে নির্মান কার্য শুরু করা যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের কথা ভেবে আট মাসেই নির্মানকাজ সম্পন্ন করার সময়সীমা রেখেছে প্রশাসন। ততোদিন ব্যবসায়ীদের নিকটবর্তী পুরসভার সামনের মাঠে বসতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই নির্মানকার্যে প্রশাসনকে সবরকম সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিলেন ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক অাঞ্জু খান। তবে এই সময় বাজার সরে গেলে বেচাকেনায় এর গভীর প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা তাঁর। তবে উন্নয়নের খাতিয়ে এই আট মাসে একটু প্রতিকূলতা সহ্য করতেও রাজি তাঁরা। তবে লোকসভার ভোটে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীদের মন পেতেই এরকম উদ্যোগ নিল রাজ্যসরকার,এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!