এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বাংলায় রেশন দুর্নীতি নিয়ে কি এবার সিবিআই তদন্ত হতে চলেছে? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ

বাংলায় রেশন দুর্নীতি নিয়ে কি এবার সিবিআই তদন্ত হতে চলেছে? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ


করোনা মহামারীর মধ্যে রেশনে দুর্নীতি নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কোথাও নিম্নমানের চাল দেওয়ার অভিযোগ, আবার কোথাও বা পর্যাপ্ত পরিমাণ থেকে অনেকটাই কম জিনিস দেওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর এবার রাজ্যের রেশন দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের কথা বলে জল্পনা উস্কে দিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

যেখানে সরকারি চালের মধ্যে কাঁকর জাতীয় ভেজাল মেশানো হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। যাকে কেন্দ্র করেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি হবিবপুরের একটি রাইস মিলে বাইরে থেকে এক গাড়ি ভর্তি চাল ঢুকতে দেখা যায়। যাকে কেন্দ্র করে প্রবল বিক্ষোভ দেখান সাধারন মানুষ। রাইস মিলে ধান ঢুকলেও, কেন এভাবে চাল ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। যদিও বা পরে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং মিল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় যে, সরকারকে যে পরিমাণ চাল দেওয়ার কথা ছিল, তা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

তাই বর্ধমান থেকে লরি ভর্তি করে সেই চাল আনা হয়েছিল। এদিকে সেদিন এই গোটা ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। যদিও বা জগন্নাথবাবু উপস্থিত থেকে তাকে ভয় দেখিয়েছেন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন বলে সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সেই মিলের মালিক কৃষ্ণ সাউ। আর এমন একটা পরিস্থিতিতে এবার রেশনের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে রাজ্য সরকারকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেন, “রানাঘাটের হবিবপুরের একটি রাইস মিল কর্তৃপক্ষ বাইরে থেকে এফসিআইয়ের চাল কিনে ভর্তি করে তার মিলের গোডাউনে ঢুকিয়েছে। বলা হয়েছে, বর্ধমান থেকে চাল কেনা হয়েছে। কিন্তু দুটি চালান ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক টাকার লেনদেন হয়েছে। তদন্ত করলে সব ধরা পড়ে যাবে।” আর এরপরই তিনি বলেন, “ভেজাল মেশানো ওই চাল সরকারকে বিক্রি করে দেওয়ার পর পৌঁছে যাচ্ছে রেশন দোকানে। সেখানে নিম্নমানের চাল পেয়ে মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এটা বড় দুর্নীতি।”

আর এরপরেই জল্পনা বাড়িয়ে তিনি বলেন, “চারিদিকে রেশনের যা কেলেঙ্কারি এবং বিক্ষোভ হচ্ছে, তার পেছনে রয়েছে এই সরকারের দুর্নীতি। আমি প্রয়োজনে আদালতে যাব। জনস্বার্থ মামলা করব সিবিআই তদন্ত চেয়ে।” কিন্তু হবিবপুরের ওই মিলের মালিকের তরফ যেভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হল, তা কি সত্যি? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “বিক্ষোভের দিন কয়েকজন বিজেপি কর্মী ছিল। তবে বেশিরভাগই ছিল ওই মিলের মালিকের লোকজন। আমিও লকডাউন ভাঙ্গার মত কাজ করিনি। মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে রেশনের দুর্নীতি তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করছে, তাতে রাজ্যে ক্রমশ উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এবার সেই রেশনের দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, তাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা একাংশের। শুধু তাই নয়, যদি বিজেপি সাংসদের এই অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে রাজ্য সরকার ব্যাপক চাপে পড়বে বলেই দাবি বিশ্লেষকদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিজেপি সাংসদের মন্তব্য অনুযায়ী সত্যিই এই ঘটনা নিয়ে সিবিআই তাদের তদন্ত শুরু করে কিনা এবং তাতে রাজ্য কতটা চাপে পড়ে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!