কমেছে হিন্দু ভোট, তাই কি এবার ফিরহাদকে সরিয়ে রত্নাকে নিয়োগ, জল্পনা রাজনৈতিকমহলের কলকাতা রাজ্য হাওড়া-হুগলি June 24, 2019 বিভিন্ন সময়ই রাজ্যের সংখ্যালঘু তোষনের অভিযোগ উঠেছিল শাসক দল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এমনকি সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে কিছুটা পর্যদুস্ত হওয়ার পর সেই সংখ্যালঘু মানুষদের হাতিয়ার করে “যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খাওয়া উচিত” বলে বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই সমস্ত কিছুর উর্ধে উঠে তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে সংখ্যালঘু মুখ হিসেবে পরিচিত রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দেওয়া হলে রাজ্যজুড়ে তীব্র আলোড়ন পড়ে যায়। কেন হিন্দুর মন্দিরের চেয়ারম্যান পদে একজন সংখ্যালঘু মানুষকে বসালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেন অনেকেই। এমনকি বিরোধীদের তরফেও এই ব্যাপারে শাসকদলকে উদ্দেশ্য করেও নানা কটূক্তি করা হয়। কিন্তু গোটা বিষয়টি নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কথায় আছে, “ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।” কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু মানুষদের তৃণমূল সমর্থন পেলেও রাজ্যের হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক তাদের পক্ষে অতটা সায় না দেওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তৃনমূলের কপালে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এর কিছুদিন পরই সম্প্রতি সেই তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ফিরহাদ হাকিমকে সরিয়ে সেখানে হুগলির বিদায়ী তৃনমূল সাংসদ রত্না দে নাগকে দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর এহেন সিদ্ধান্তের পরেই নানা মহলে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। সমালোচক মহলের একাংশের দাবি, হিন্দু ভোট নিজেদের পক্ষে না থাকাতেই এবার তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে ফিরহাদ হাকিমকে বসানো অনেকেই যে মেনে নিতে পারেননি, তা বুঝেই সেখানে রত্না দে নাগকে দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূলের অবশ্য দাবি, যখন ফিরহাদ হাকিম এই পদে ছিলেন তখন তিনি কলকাতা পৌরসভার মেয়র ছিলেন না। ফলে এখন তিনি একাধারে যেমন কলকাতা পৌরসভার মেয়র, তেমনি রাজ্যের পুরমন্ত্রীও বটে। তাই তার পক্ষে এত দায়িত্ব সামলানো সম্ভব নয় জেনেই এবার তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে সেখানে রত্না দে নাগকে দায়িত্ব দেওয়া হল। তবে বিরোধীরা অবশ্য তা মানতে নারাজ। তাদের একটাই দাবি, এখন হিন্দুভোটকেই পাখির চোখ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাইতো সংখ্যালঘু মুখকে হিন্দু প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে হিন্দু মুখ আনছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -