এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > সংখ্যালঘু চাষীদের মাঠের ধান ঘরে তুলতে হাত মেলাচ্ছে RSS! করোনা পরিস্থিতিতে মানবিক অঙ্গীকার

সংখ্যালঘু চাষীদের মাঠের ধান ঘরে তুলতে হাত মেলাচ্ছে RSS! করোনা পরিস্থিতিতে মানবিক অঙ্গীকার

করোনা ভাইরাসকে আটকাতে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলো সামাজিক দূরত্ব মেনে সকলকে সহযোগিতা করার আপ্রাণ প্রয়াস চালাচ্ছে। আর এবার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ফসল তোলার কাজ করতে দেখা গেল আরএসএস সদস্যদের। বস্তুত, লকডাউনের সময় ফসল তোলার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে অনেক ভাগচাষী পরিবারগুলো চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন।

মাঝেমধ্যেই কালবৈশাখীর ঝড় ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে এবার সেই কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন বনগাঁর চাঁদা এলাকার আরএসএস সদস্যরা। সেখানে সংখ্যালঘু কৃষকদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে ফসল তোলার কাজ করলেন তারা। সূত্রের খবর, বনগাঁর গাড়াপোতা এলাকার ভাগচাষী আলম মন্ডল সময়ের একটু আগেই ধান লাগিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বৃষ্টি হওয়ার জন্য পাকা ধান রোজ ভিজে যাচ্ছে। যার ফলে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।

আর এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় ফসল কাটার কোনো লোক না পেয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছিলেন সেই আলম মন্ডল। তবে সম্প্রতি তার দূরাবস্থার কথা ভেবে তার পাশে দাঁড়ান রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্যরা। যেখানে হাতে হাত মিলিয়ে আরএসএস সদস্যরা আলম মন্ডলকে ধান তুলে দেন। দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পোষাক পড়েই বিশ্বজিৎ গায়েন, গোবিন্দ বিশ্বাস, ভবতোষ বিশ্বাস, প্রশান্ত মন্ডল, অর্জুন বিশ্বাস এবং প্রবীর সরকাররা সেই কৃষকের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর কৃষকের দুর্দিনে এভাবে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ফসল তোলার ক্ষেত্রে যেভাবে মাঠে নেমে পড়ল আরএসএস সদস্যরা, তাতে তাদের সাধুবাদ না জানিয়ে পারছেন না কেউই। এদিন এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্য বিশ্বজিৎ গায়েন বলেন, “কয়েকজন ভাগচাষী দিনমজুরের অভাবে ধান কেটে বাড়ি নিতে পারছিল না। এই খবর পেয়েছিলাম। তাই তাদের পাশে দাঁড়িয়ে একটু সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।”

একইভাবে এই ব্যাপারে আরএসএস সদস্য তথা বিজেপি নেতা গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, “চাষিরা এসে বলেন যে লকডাউনের ফলে এলাকায় দিনমজুর পাওয়া যাচ্ছে না, ওদের কাছে নগদ টাকা নেই। তাই আমরা স্বয়ংসেবকরা ওদের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিপদের সময় জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের কাজ।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঝেমধ্যেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দাবী করে বসে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ হচ্ছে হিন্দুদের সংগঠন।

কিন্তু এক্ষেত্রে বিপদের দিনে মুসলিম চাষীরা যেভাবে ধান তুলতে পারছিলেন না এবং সেই সময় যেভাবে তার পাশে দাঁড়ালেন আরএসএস সদস্যরা, তা নিঃসন্দেহে আরএসএসের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিকেই প্রকাশ্যে নিয়ে এল বলে মত বিশ্লেষকদের। বিশেষ করে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট খুব দ্রুত বদলাচ্ছে, তীব্র গতিতে উত্থান হচ্ছে বিজেপির। কিন্তু, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীদের তরফে বারেবারেই দাবি করা হচ্ছে, বিজেপি বাংলার মাটিকে ধর্মের নামে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। সেখানে বিজেপির প্রধান শাখা আরএসএস যেভাবে মানবিক পদক্ষেপ নিল – তাতে করে বিরোধীদের সেই অভিযোগে অনেকটাই ভাটা পরে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!