এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পঞ্চায়েত-স্তরে গেরুয়া শিবিরকে আবারও জোড়া ধাক্কা দেবে শাসকদল? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

পঞ্চায়েত-স্তরে গেরুয়া শিবিরকে আবারও জোড়া ধাক্কা দেবে শাসকদল? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির উত্থান ঘটার পরেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে তৃণমূলের ধ্বস নামতে শুরু করে। মালদহ থেকে কোচবিহার বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের দখলে থাকা পঞ্চায়েত দখল করতে শুরু করে গেরুয়া শিবির। যার ফলে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই এবার যেন অবস্থার পরিবর্তন করতে শুরু করেছে। নিজেদের হাতছাড়া হওয়া পঞ্চায়েতগুলো এবার ফের নিজেদের দখলে আনতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বস্তুত, লোকসভা নির্বাচন থেকে পাকাপাকিভাবে বিজেপির উত্থান লক্ষ্য করা গেলেও মালদহ জেলায় বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনেই উত্থান ঘটেছিল গেরুয়া শিবিরের। এখানকার 146 টি পঞ্চায়েতের মধ্যে এককভাবে বিজেপি 21 টি পঞ্চায়েত দখল করে। অন্যদিকে তৃণমূল 58 এবং কংগ্রেস 4 টি পঞ্চায়েত দখল করে।

পরবর্তীতে 63 টি পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়ে যাওয়ায় একে অপরের সাথে জোট বেধে সেখানে বোর্ড গঠন করে। পুরাতন মালদা ব্লকের পঞ্চায়েতের মধ্যে ভাবুক, মুচিয়া এবং সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে তৃণমূলকে প্রবল চাপে রেখেছিল। কিন্তু এবার বিজেপির সেই গড় ভাঙতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ভাবুক পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান তাঁর দলবল নিয়ে গোপন ডেরায় আশ্রয় নিয়েছেন। বিভিন্ন মহলে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে যে, এই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ অন্যান্য সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।কিন্তু শুধু ভাবুক নয়, এবার পুরাতন মালদার মুচিয়া এবং সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও বিজেপির অস্বস্তি বাড়াতে শুরু করল তৃণমূল।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, মুচিয়া এবং সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি সদস্যরা ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে দর কষাকষি শুরু করেছেন। জানা গেছে, তৃণমূলকে এই তিন পঞ্চায়েতের সদস্যরা শর্ত দিয়েছেন যে, তারা তৃণমূলে আসলে তাদেরকেই প্রধান করতে হবে। আর ক্ষমতা বড় সম্পদ। আর তাইতো বোর্ড গঠন করতে এবার বিদ্রোহী বিজেপি নেতাদের সেই শর্ত মেনে নিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

জানা গেছে, আজ মালদহ জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান এবং কংগ্রেস সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দেবেন। আর ভাবুকের পর মুচিয়া এবং সাহাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং সদস্যরা যদি তৃণমূলে যোগ দেন, তাহলে এখানে বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়বে বলে মনে করছে বিশ্লেষক মহল।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে অনেকেই আমাদের সঙ্গে শামিল হতে চাইছেন। আগামী দিনে আইন মেনে তাদের সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন করা হবে। বুধবার ভাবুকের প্রধান সহ 4 পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। আমরা তাদের বরণ করে নেব।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে পুরাতন মালদহ ব্লক তৃণমূলের কনভেনার জহর ঘোষ বলেন, “পুরাতন মালদহে গেরুয়া শিবিরের নিয়ন্ত্রাধীন পঞ্চায়েতের অধিকাংশ বিজেপি সদস্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। বিজেপির অনেক বিক্ষুব্ধ সদস্য প্রধান হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি। এখন আমরা ভাবুকে বোর্ড গঠন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। সেটি মিটে গেলে অন্যান্য পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে বোর্ড গঠনের দিকে এগোবো। এতটুকু নিশ্চিত যে খুব শীঘ্রই এই ব্লকের সমস্ত পঞ্চায়েত আমাদের দখলে আসবে।”

তাহলে কি তারা তাদের দলীয় সদস্যদের আটকে রাখতে পারছে না! কিন্তু এরকম ভাবে চলতে থাকলে তো সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি চরম ধাক্কা খাবে! এদিন এই প্রসঙ্গে পুরাতন মালদা ব্লকের বিজেপির মন্ডল সভাপতি নিতাই মন্ডল বলেন, “কাউকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। যারা দলবদল করছেন, তাদের নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির ব্যাপার রয়েছে। তবে পঞ্চায়েতে বিজেপি শক্তিশালী। রাজ্যের শাসক দল যতই চেষ্টা করুক, তা নাড়াতে পারবে না। দলবদলের বিষয়টি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। যদি সেরকম হয়ে থাকে, তাহলে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।”

তবে যে বা যারা যে কথাই বলুন না কেন, পঞ্চায়েত স্তরে যদি তারা তৃণমূলের কাছে ধাক্কা খায়, তাহলে তা আগামীর জন্য বিজেপির কাছে বিপদ ডেকে আনবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!