এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সাগর ঘোষ হত্যা মামলার রায়ে কি চাপ বাড়ল অনুব্রত মন্ডলের উপর?

সাগর ঘোষ হত্যা মামলার রায়ে কি চাপ বাড়ল অনুব্রত মন্ডলের উপর?

বীরভূম জেলার মানুষ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হয়ে চলা নানা নজিরবিহীন ঘটনাকে প্রত্যক্ষ করছে। এরমধ্যে যেমন হিংসা, সন্ত্রাস, দু দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা রয়েছে তেমনি রয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জেলা পরিষদের প্রায় সমস্ত আসনে জয়লাভ। এসব কিছুর মধ্যেও এদিন দলীয় কর্মী সাগর ঘোষ হত্যা মামলার দোষী সাব্যস্ত হলো দুই দলীয় কর্মী। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুন হন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সাগর ঘোষ। এই হত্যায় সন্দেহজনক ৮ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। এরমধ্যে ৬ জনকে আদালত বেকসুর খালাস করে এবং ২ জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এদিন সেই ২ জনকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করলো। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে স্বভাবতই চাপের মুখে রাজ্যের শাসক দল। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বললেন, ”এটা আদালতের বিষয়। ফলে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।” উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ২১ জুলাই পাড়ুই থানা এলাকার বাঁধনবগ্রামে বাড়ির মধ্যে ঢুকে তৃণমূল কর্মী সাগর ঘোষকে গুলি করে খুন করেন  আততায়ীরা। সূত্রের খবর অনুয়ারী গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় মতভেদের কারনে নিজের পরিবারের মনোনীত না হতে পারা সদস্যকে নির্দল হিসেবে দাঁড় করানোর জন্যে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন সাগর ঘোষ। রাজনৈতিক মহল সূত্রে নিশ্চিত ভাবে জানা যাচ্ছে যে, সাগর বাবু খুন হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে ঐ এলাকায় দলের একটি কর্মীসভা থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে অনুব্রত মন্ডল বার্তা দিয়েছিলেন, ”কোনও নির্দল প্রার্থীকে ভোট দেবেন না। কোনও নির্দল প্রার্থীর বাড়ি থাকলে বাড়িটাকে চারিয়ে দিন। যদি পুলিশ বাধা দিতে আসে তাহলে পুলিশকে বোমা মারুন।” এই বার্তা ঘোষণার অল্পদিনের মধ্যেই সাগর ঘোষ খুন হন। পাঁচ বছর পরে সাগর ঘোষ হত্যা মামলার রায়ে দুই দলীয় কর্মী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় স্বভাবতই আংশিক কোনঠাসা শাসকদল বলে অনুমান করা হচ্ছে।  দলীয় কর্মীদের একাংশের মতে,সিংহভাগ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমাদের জয় সুনিশ্চিত। তবু যেভাবে দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় দলেরই দুই কর্মীকে আদালত দোষি সাব্যস্ত করল, তাতে অস্বস্তি বেড়েছে বই কমেনি।  অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় এই বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে বললেন, ”মুখে সততার প্রতীক বললেও তৃণমূল আসলে যে গুন্ডার দল তা এই রায় থেকেই স্পষ্ট। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই সাগর ঘোষকে প্রাণ খোয়াতে হয়েছে। সঠিকভাবে তদন্ত হলে এই ঘটনায় আরও অনেকে গ্রেফতার হত। অথচ বাকিরা গা বাঁচিয়ে নিল। মাত্র দু’জনকে বলির পাঁঠা করা হল।অনুব্রত মণ্ডলের সাজা হবে না কেন? ওঁর হুমকি-বাণীর পরেই তো সাগর ঘোষ খুন হয়েছিল।’ফলে রাজনৈতিকমহলের মতে বিজেপি ফের সেই সময়কার কথা বলে অস্বস্তি বাড়ালো অনুব্রতবাবুর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!