এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সন্দেশখালি কাণ্ডে অবশেষে গ্রেপ্তার! প্রকৃত তথ্য ধামাচাপার চেষ্টা? প্রবল কটাক্ষ বিজেপির!

সন্দেশখালি কাণ্ডে অবশেষে গ্রেপ্তার! প্রকৃত তথ্য ধামাচাপার চেষ্টা? প্রবল কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি সন্দেশখালিতে তদন্ত করতে গিয়ে যেভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে, তা প্রচন্ড নিন্দনীয়। বাংলাতেই হয়ত এই ধরনের ঘটনা ঘটা সম্ভব। তবে এরপর থেকেই এই ঘটনার পেছনে থাকা মূল পান্ডা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান গায়েব হয়ে গিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি হলেও তাকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! তবে পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবেই তাকে ধরছে না বলেই দাবি করছে বিজেপি। কারণ তাদের বক্তব্য যে, শেখ শাহজাহান ধরা পড়লে তৃণমূলের ওপর তলার অনেক তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। তাই তাকে গায়েব করে রাখা হয়েছে। তবে এবার এই সন্দেশখালির ঘটনায় যখন ক্রমাগত রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে, তখন তারা নাটকীয় হলেও একটা পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তাকে কবে গ্রেপ্তার করা হবে? কি লাভ এই চুনোপুটিদের ধরে! তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, দীর্ঘ টালবাহানার পর আজ সন্দেশখালির ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের একজনের নাম মেহবুর মোল্লা এবং অপর জনের নাম সুকমল সর্দার। জানা গিয়েছে, পুলিশ তাদেরকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে। তবে এইসব ছোটখাটো গ্রেফতারি করে কি হবে? মূল অভিযুক্ত যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ রয়েছে, সেই শেখ শাহজাহানকে কবে গ্রেফতার করবে পুলিশ? অনেকে বলছেন, এটা পুলিশের কারসাজি নয় তো? আদালতের কাছে থ্যাতানি খাওয়ার ভয়ে পুলিশ এই ছোটখাটো গ্রেপ্তার করে মূল বিষয়কে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে না তো? যদি তাই হয়, তাহলে পুলিশকে আরও ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই প্রশাসনের সম্পূর্ণরূপে মেরুদন্ড ভেঙে গিয়েছে। শেখ শাহজাহান কোথায় আছে, তা খুব ভালো করেই জানে পুলিশ। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করার মত ক্ষমতা নেই। কারন পুলিশ মন্ত্রী গ্রীন সিগন্যাল দিচ্ছেন না। তাই ছোটখাট চুনোপুটিকে গ্রেফতার করে বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এসব করে লাভ নেই। আজ না হোক, কাল মূল পান্ডাকে জেলে ঢোকতেই হবে। যে অপরাধ হয়েছে, তার জন্য দুষ্কৃতীদের শাস্তি পেতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, হয় পুলিশ খুব ভালোমত জানে যে, শেখ শাহজাহান কোথায় রয়েছে! কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তারা গ্রেফতার করতে পারছে না। কারণ ওপর তোলার সিগন্যাল নেই। আর তা না হলে পুলিশ কাজ করা ভুলে গিয়েছে। এই রাজ্যে প্রশাসনকে যেভাবে দলদাসে পরিণত করেছে সরকার, তাতে পুলিশ এখন অপরাধীদের দেখে ভয় পায়। তারা টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়ে। তাই এক্ষেত্রে হয়ত তেমনটাই হয়েছে। ফলে ছোটখাটো ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ এখন বীরপুঙ্গব হওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে চিড়ে ভিজবে না। যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের উপর হামলা হয়েছে, তাতে মূল অভিযুক্ত যদি ধরা না পড়ে, তাকে যদি শাস্তি না দেওয়া যায়, তাহলে মানুষের বিশ্বাস ভেঙে যাবে। তাই শেখ শাহাজাহান তৃণমূল নেতা জন্যেই কি তাকে গ্রেফতার না করে ছোটখাটো চুনোপুটিদের গ্রেপ্তার করে বিষয় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে? ঘটনার গতি প্রকৃতি দেখে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!