প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এবারের সংসদে বাদল অধিবেশন নিয়ে শুরু থেকেই সুর চড়িয়েছিল বিরোধীরা। বিভিন্ন সময় সংসদে বিরোধীরা গন্ডগোল করছেন বলে ক্রমাগত অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সদস্যরা এবং স্পিকার। বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতেও বিরোধীদের অভিযোগের মাত্রা বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং তাঁরা উপর্যুপরি অভিযোগ করে চলেছেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। আর এবার ময়দানে পাল্টা জবাব দিতে নামল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন বিজেপির একাধিক মন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, সংসদের অন্দরে বিরোধীরা কার্যত অভব্য আচরণ করেছেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এদিন টুইট করে জানান, কার্যত সাংসদদের সংসদের টেবিলের ওপরে উঠে পড়তে দেখা গিয়েছিল।

এই ঘটনাটি ভিডিও করে টুইট করেছেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও বিরোধীদের নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যসভার মার্শালদের বিরোধীরা হেনস্থা করেছেন। রাজ্যসভায় বিজেপির নেতা পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, কার্যত যে সাংসদরা নিন্দনীয় আচরণ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং ডেপুটি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে আবেদন করেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এদিন জানান, বিরোধিতা করতে গিয়ে এক এমপি টেবিলের ওপর দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন।

অন্যদিকে এদিন সকালে বিরোধী এমপিরা রাজ্যসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানা গেছে। তারপর বিজয়চকে সংসদ ভবনের বাইরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও অভিযোগ করেন, রাজ্যসভায় বহিরাগতরা ঢুকে বিরোধী সাংসদদের ওপর হামলা করেছে। কিন্তু সূত্রের খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাজ্যসভার মার্শালদের সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। অন্যদিকে বুধবার রাজ্যসভার কয়েকজন মহিলা কংগ্রেস সাংসদ জানিয়েছেন, তাঁদেরকে ওয়েলে বিক্ষোভ দেখানোর সময় কয়েকজন পুরুষ মার্শাল হেনস্থা করেছেন। এ প্রসঙ্গে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এদিন জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন সংসদে থাকলেও বুধবারের মতন ঘটনা অর্থাৎ মহিলা সাংসদদের এভাবে আক্রান্ত হতে দেখেননি বলে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে বুধবারের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে কার্যত বিরোধীদের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, বিরোধী শিবিরের কোন প্ররোচনা না থাকা সত্বেও সংসদের নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে বহিরাগতরা এসে বিরোধী নেতা, মহিলা সাংসদদের নিগ্রহ করে গিয়েছে। কার্যত সংসদীয় গণতন্ত্রের ওপর আঘাত করা হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে ক্রমাগত চাপানউতোর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিরোধীরা ক্রমশ এবার একজোট হচ্ছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে, যা কার্যত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এবার পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যেভাবে বিরোধীদের কোণঠাসা করা হলো বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে, তা নিয়ে বিতর্ক যে আবার বাড়বে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।