এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বাজার থেকে আনা মাছ-মাংস-শাক-সব্জি থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাস? কিভাবে সহজেই করবেন স্যানিটাইজ?

বাজার থেকে আনা মাছ-মাংস-শাক-সব্জি থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাস? কিভাবে সহজেই করবেন স্যানিটাইজ?


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে করোনা মহামারির আকার ধারণ করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ভারতও গোষ্ঠী সংক্রমনের বারুদের স্তূপের ওপর বসে আছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে মাত্রাতিরিক্ত সর্তকতা এবং সচেতনতা বজায় রাখার আবেদন করছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ এড়াতে প্রথম থেকে মাস্ক ব্যবহার করার কথা বলে আসছেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন।

মানুষ গৃহবন্দী থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় জিনিস কেনার দরুণ মানুষকে কোন কোন দিন বাইরে বেরোতে হচ্ছে লকডাউন এর মধ্যেই। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সাধারণ মানুষের জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনা হচ্ছে তার মাধ্যমেই করোনার জীবাণু বাড়িতে প্রবেশ করছে না তো? তাই এবার মাছ মাংস থেকে শুরু করে শাকসবজি কিভাবে জীবাণুমুক্ত করা যাবে, বিশেষজ্ঞরা তার পরামর্শ দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার জীবাণু হাতের মাধ্যমে সব থেকে তাড়াতাড়ি শরীরে প্রবেশ করে। তাই গ্লাভস পরে বাইরে বেরোনো সবার আগে প্রয়োজন। তবে যদি গ্লাভস না পড়া যায়, তাহলে অবশ্যই ব্যাগের ভেতর যাতে কোনরকম ভাবে জীবাণু প্রবেশ না করে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোন দ্রব্য আনতে গেলে হ্যান্ডেলওয়ালা ব্যাগ ব্যবহার করা এই সময় অতি প্রয়োজন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, ব্যাগের হ্যান্ডেলেও করোনার জীবাণু থাকতে পারে।

তাই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল টিস্যু সাথে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। যে প্রয়োজনীয় বস্তুই কেনা হোক না কেন, ব্যাগে করে এনে ব্যাগ খালি করে সেই ব্যাগটি সাবান জলে ধুয়ে চারঘন্টা কড়া রোদে শুকালে জীবাণু মুক্ত হবে ব্যাগটি। অন্যদিকে সবজি কেনার ক্ষেত্রেও কিছু সতর্কতা জ্ঞাপন করা হয়েছে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে। জানানো হয়েছে, সবজি কিনতে গেলে কোন রকম ফাটা বা কাটা সবজি ফল যেন কখনোই নেওয়া না হয়। কারণ কাটা অংশ দিয়ে করোনার জীবাণু প্রবেশ না করুক, কিন্তু পেটের সমস্যায় পড়তে হতে পারে ক্রেতাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, মাছ-মাংস বাড়িতে আনার পর অল্প গরম জলে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, এর ফলে মাছ-মাংস জীবাণুমুক্ত হতে পারে। অন্যদিকে, শুকনো খাবার কেনার ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে সাবধানতা আপাতত ক্রেতাদের জন্য। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, আপতত ছোট দোকান থেকে ঠোঙায় করে চিনিস না কিনে বড় দোকানের প্যাকিং করা জিনিসপত্র এ সময় কেনা প্রয়োজন। কোন মানুষের স্বভাব আছে, দোকান থেকে জিনিস কেনার সময় খাদ্যদ্রব্য চেখে দেখার আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বারংবার সাবধান করেছেন ,যদি কেউ অনেকক্ষণ ধরে পড়ে থাকা কোন খাবার টেস্ট করে দেখতে যান, তাহলে তাঁর জন্য সমূহ বিপদ লুকিয়ে থাকতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, আপাতত সতর্কতার সঙ্গে এই নিয়মগুলো যদি ভারতের সর্বত্র মেনে চলা হয়, হয়তো কিছু ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণকে এড়ানো যেতে পারে। তবে অবশ্যই সাধারণ মানুষের সর্তকতা এবং সচেতনতা করোনার থেকে তাদের বাঁচাবে। এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে সর্তকতা ও সচেতনতা ছাড়া আর কোন অস্ত্র নেই মানুষের হাতে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এখনো পর্যন্ত করোনার কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। যদিও সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানী ও গবেষকরা প্রাণপাত করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে বিশ্বের মানুষকে এই মারণ থাবা থেকে বাঁচানোর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!