এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সংখ্যালঘু মানুষদের ব্রাত্য করে রেখেছেন দলের বিধায়ক, বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের

সংখ্যালঘু মানুষদের ব্রাত্য করে রেখেছেন দলের বিধায়ক, বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিশেষ ভোটব্যাঙ্ক হল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এবারে বিধানসভা নির্বাচনে যারা ঢেলে সমর্থন জানিয়েছিলেন তৃণমূলকে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যাপক সমর্থনের কারণেই তৃতীয়বারের জন্য শাসন ক্ষমতায় ফিরে আসতে পেরেছে তৃণমূল, এমনটা মনে করেন অনেকে। ভোটের সময় তৃণমূলের হয়ে প্রচার ছাড়াও একাধিক কাজ করতে দেখা গেছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলকে। কিন্তু ভোটের পর তাদের ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে বলে, অভিযোগ করলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতারা।

গতকাল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে দলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা কমিটির একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সভায় অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অরগানাইজেশনের বহু সদস্য তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলে যোগদান করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী, জেলা পরিষদের তৃণমূল সভাধিপতি উত্তরা বর্মন, এছাড়া তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি মোশারফ হোসেন ও সংখ্যালঘু সেলের জেলা কমিটির একাধিক সদস্যরা। যেখানে তাঁরা দলের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মোশারফ হোসেন জানালেন যে, দিনরাত এক করে নিজের গাঁটের অর্থ খরচ করে তৃণমূল প্রার্থীদের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু নির্বাচনে জেতার পর বিধায়কেরা আর তাঁদের কোন কথা শুনছেন না। তাঁরা হলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের বেশ কিছু দাবি-দাওয়া আছে। কিন্তু বিধায়কের সঙ্গে তাঁরা যদি দেখা করতে চান, তবে তাদের সময় দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যে কমিটি রয়েছে, সেখানে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষদের স্থান দেয়া হলেও, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের স্থান দেয়া হয়নি বলে, অভিযোগ করলেন তিনি।

মোশারফ হোসেন আরো অভিযোগ করেছেন যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। পরীক্ষায় ভালো ফল করার পরও উচ্চশিক্ষা লাভে বঞ্চিত তারা। কারণ তাদের থাকার জন্য কমিউনিটি হল গড়ে তোলা হয়নি। কমিউনিটি হল নির্মাণের দাবি করলেন তিনি। গতকালের এই ঘটনা তীব্র অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে তৃণমূলকে। যে সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীরা দলের জন্য এতটা করেছেন, ভোটের পর তাদেরকে পাত্তা না দেওয়ার অভিযোগ, অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে দলকে।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন যে, সংখ্যালঘু ভোট হল তৃণমূলের একটি মূল্যবান সম্পদ। এই সম্পদ হাতে থাকার কারণেই একের পর এক দুরূহ বাধা অতিক্রম করতে পেরেছে তৃণমূল। ২০১১ তে তৃণমূলের শাসন ক্ষমতায় আসার পেছনে যেমন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের অবদান ছিল। তেমনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমর্থন নিয়েই তৃতীয়বার শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে তৃণমূল। তাই তাঁরা মনক্ষুণ্ন হলে দলের যে সমস্যা বাড়বে, তাতে কোন ভিন্নমতের অবকাশ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!