এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সরকারি খাস জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় তৃণমূলের, আন্দোলনের ডাক বাম শিবিরের

সরকারি খাস জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় তৃণমূলের, আন্দোলনের ডাক বাম শিবিরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতিতে একটি কথা সব সময় শোনা যায়, সেটি হল ‘দলের ঊর্ধ্বে প্রশাসন’। কিন্তু সেই প্রশাসনকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিভিন্ন সময় অনৈতিক কাজ কর্ম হয়ে থাকে। এবার এরকমই একটি অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সরকারি জমিতে কোন ব্যক্তি বিশেষের বা কোন দলবিশেষের কিছু করার অধিকার থাকেনা। কিন্তু সেই নির্দেশকে একপাশে সরিয়ে রেখে সম্প্রতি তৃণমূলের পক্ষ থেকে সরকারি খাস জমিতে পার্টিঅফিস তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দল সিপিএম।

ঘটনা শুরু হয়েছে বংশীহারি থানার বংশীহারি-মহিপাল রাজ্য সড়কের পাশে একটি সরকারি খাস জায়গাকে কেন্দ্র করে। বিরোধীদলের অভিযোগ ঐ সরকারী খাস জায়গাটি তৃণমূল ক্ষমতাবলে অধিকৃত করে তাঁদের দলীয় কার্যালয় তৈরি করছে। এ প্রসঙ্গে সিপিএম জেলা সম্পাদক নারায়ন বিশ্বাস জানিয়েছেন, জোর করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তৃণমূল সরকারি খাসজমি দখল করে পার্টি অফিস তৈরি করছে। তিনি ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সঠিক তদন্ত করার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত না হলে সিপিএম আন্দোলনে নামবে। অন্যদিকে, তৃণমূলের বংশীহারি ব্লকের সভাপতি সত্যেন রায় জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, যে জায়গা অধিগ্রহণ করে তৃণমূলের কার্যালয় হচ্ছে, সেটি কোন এক ব্যক্তিবিশেষের জায়গা এবং তাঁর অনুমতি নিয়েই পার্টি অফিস তৈরি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বংশীহারি ব্লকের বিডিও সুদেষ্ণা পাল জানিয়েছেন, নুরপুরে সরকারি জমি অধিগ্রহণ করার খবর তিনি আগেই পেয়েছেন। তবে কারা এবং কী কারণে সরকারি খাস জমি অধিগ্রহণ করেছেন তা তাঁর জানা নেই।

তবে তিনি তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে বলে জানা গেছে। বিরোধী দলের দাবি, রাজ্যের ক্ষমতায় শাসক দল তৃণমূল থাকার দরুন তার সুবিধা দল সর্বক্ষেত্রে নেয়। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন আসছে। এবং তার আগে এধরনের ঘটনাগুলি যদি ক্রমাগত ঘটতে থাকে এবং দলকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে কিন্তু তৃণমূলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে সামনের দিন। আপাতত নুরপুর এলাকায় সরকারি জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি হয় কিনা, সেদিকে কিন্তু নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!