এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > স্কুল বন্ধ হলেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আসতে হবে স্কুলে,কেন জেনে নিন

স্কুল বন্ধ হলেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আসতে হবে স্কুলে,কেন জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে মারাত্মক হারে বেড়ে চলেছে করোনা। রাজ্যজুড়ে এমনিতেই চলছে বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার। তার মধ্যেই যেভাবে করোনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে, তা চিন্তায় ফেলেছে সবাইকে। গত বছরের স্মৃতি আবার ঘুরে ফিরে আসছে। 2020 এর ফেব্রুয়ারী থেকে করোনা হানা দেয় দেশে। লকডাউন শুরু হয়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে সমস্ত স্কুল কলেজ। পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি স্কুল-কলেজ খুলেছিল। কিন্তু দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ ধাক্কা দিয়েছে। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সমস্ত স্কুল-কলেজ মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন।

যতদিন না করোনা পরিস্থিতি আবার নিয়ন্ত্রণে আসে, ততদিন রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে স্কুল বন্ধ থাকলেও মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। সেক্ষেত্রে আরোপ করা হয়নি কোনো বাধা নিষেধ। গত বছরেও যখন লকডাউন চলছিল তখনও মিড ডে মিল দেওয়া হয়েছে নিয়ম মেনেই।

তবে রান্না করা খাবার নয়, বরং মিড-ডে-মিল মিয়ম অনুযায়ী বিতরণ করা হয়েছিল। এবারেও ঠিক সেরকমই হবে বলে সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। কোভিড প্রটোকল মেনে নিয়ে মিড ডে মিল বিতরণ হবে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মুখে মাস্ক পড়ে স্কুলে আসতে হবে অভিভাবকদের। রাজ্যের সমস্ত জেলার স্কুলগুলির পরিদর্শকদের কাছে এই অনুযায়ী নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলিও বন্ধ করার আবেদন করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হচ্ছে এক্ষেত্রে। গত মার্চ মাসে মিড ডে মিলের ব্যবস্থাপনায় পড়ুয়াদের ২ কেজি চাল ও ২ কেজি আলুর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় এপ্রিল মাস থেকে ৩ কেজি আলু এবং ৩ কেজি চালের পরিমাণ বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় জুন মাস থেকে পড়ুয়াদের আবার দু কিলোগ্রাম চাল এবং দু কেজি আলু দেওয়া শুরু হয়। অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে মিড ডে মিল বিলিবন্টন চালানো হয়েছিল।

এবারেও কোভিড গাইডলাইন মেনে ঠিক সেভাবেই মিড ডে মিলের ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকলেও মিড ডে মিল চালু থাকার ব্যাপারে ইঙ্গিতপূর্ণ নির্দেশ দিতেই সাড়া পড়ে গেছে। মনে করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের নিম্ন পরিবারের ছেলেমেয়েদের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়, তার জন্যই মিড ডে মিলের ব্যবস্থা চালু রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি ভোটের রাজনীতিকেও দূরে সরিয়ে রাখা যাচ্ছেনা বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে দাবী অনেকেরই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!