এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শাহ-মুকুল আর তৃণমূলের ‘বিশেষ নেতা’, ত্রিফলাতে বিদ্ধ করে নবান্ন থেকে তৃণমূলকে সরাবে বিজেপি?

শাহ-মুকুল আর তৃণমূলের ‘বিশেষ নেতা’, ত্রিফলাতে বিদ্ধ করে নবান্ন থেকে তৃণমূলকে সরাবে বিজেপি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2021 এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির কাছে অনেক কিছু হয়েছে। কিন্তু কোনো একটা ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে গেলে রণকৌশলের দরকার হয়। ধীরে ধীরে সাংগঠনিকভাবে বাংলায় শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে বাংলায় সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে এবং 2021 এ যাতে তৃণমূলকে সরানো যায়, তার জন্য এবার বিজেপি তিনটি বিষয়কে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে। যেখানে ত্রিফলা নীতির মাধ্যমে তৃণমূলকে বিধ্বস্ত করে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।

জানা গেছে, বাংলায় পরিবর্তনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় ঘাটি করতে চেয়েছেন। অর্থাৎ বঙ্গ বিজেপিকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, তার বসার জন্য একটি নতুন অফিস করার। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই বাংলার রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়ে পড়েছে গুঞ্জন।

অনেকে বলছেন, এই ঘটনাতে কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, অমিত শাহ এখন আর বাংলার কোনো প্রতিনিধিদের দ্বারা নয়, স্বয়ং নিজেই বাংলার পরিস্থিতি দেখতে চান। আর তাই 2014 সালে উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে তিনি যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন, এখন বাংলায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে তিনি সেই একই পদ্ধতি অবলম্বন করছেন‌। অর্থাৎ বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবেন তিনি। একাংশের মতে, অতীতে দেখা গেছে, বাংলা থেকে অমিত শাহ অনেক রিপোর্ট চেয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তা ভুল হিসেবে গেছে। যার ফলে সঠিকভাবে বাংলায় সাফল্য পায়নি গেরুয়া শিবির।

আরো পড়ুন :- দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে শুভেন্দুর, মহাসচিবের সভা এড়িয়ে অন্য সভায় যোগ, বাড়ছে জল্পনা !

তাই এবার 2021 কে যখন একেবারে পাখির চোখ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তখন সেই সুযোগ ছাড়তে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তারই অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় পাকাপাকিভাবে এসে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে চাইছেন। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায়কে গুরুত্ব দিয়ে তৃণমূলকে ভাঙানোর কাজ করতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার পর তার হাত ধরে অনেক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। যার ফলে ক্রমশ অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের শাসকদলের। তবে দীর্ঘদিন ধরেই যোগদান পর্ব বন্ধ। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে ভাঙতে পারলে রাজ্যের শাসক দলের অস্তিত্ব যে অনেকটাই বিলুপ্ত হবে, তা বুঝতে পেরেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

 
আরো পড়ুন :- মমতার এই ঘোষণার জন্য অতিরিক্ত টাকা কোথা থেকে আসবে? ঘুম ছুটেছে নবান্নের আধিকারিকদের

আর এই কাজ বঙ্গ বিজেপির একমাত্র মুকুল রায়কে দিয়েই সম্ভব। তাই এবার তাকে বাড়তি নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলে খবর। আর মুকুল রায় যদি এই কাজ শুরু করে দেন, তাহলে তৃণমূলের মনোবল ভেঙে দেওয়া যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর বিজেপির ত্রিফলা নীতির মধ্যে শেষ নীতি হল তৃণমূলের এক হেভিওয়েট মন্ত্রীকে নিজেদের দলে যোগদান করানো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে তৃণমূলের সবথেকে উল্লেখযোগ্য এবং সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এক ব্যক্তি গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাতে পারেন বলে সম্প্রতি জল্পনা ছড়িয়েছিল।

আর তিনি যদি সত্যি সত্যিই বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রীতিমতো কালঘাম ছুটতে পারে রাজ্যের শাসকদলের। কেননা যে ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তিনি যদি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়েন, তাহলে তার পথ অনুসরণ করে অনেক তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রী, জনপ্রিয় নেতা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন। আর বিজেপির পক্ষ থেকে এখন তৃণমূলের যাকে টার্গেট করে এগোনো হচ্ছে, তাকে যদি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আনা সম্ভব হয়, তাহলে বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় সাফল্য পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরো পড়ুন :- তৃণমূলে রদবদল – পিকের দাওয়াইয়ে পদ পেতে চলেছেন স্বচ্ছ নেতারাই, কপাল পুড়তে পারে ‘সাহসীদের’?

আর একদিকে অমিত শাহের বাংলায় অফিস করা, অন্যদিকে মুকুল রায়কে কাজে লাগানো এবং তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে নিজেদের দলে যোগদান করানো, এই তিন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে বিজেপি এই তিন লক্ষ্যকে সামনে রেখে 2021 এ বাংলার ক্ষমতা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে চাইলেও, তারা কতটা সাফল্য পান, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!