শুভেন্দু-গড়ে উলটপুরাণ! আমপান দুর্নীতিতে দলীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেই তীব্র বিক্ষোভ তৃণমূলের! তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য September 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার রাজনৈতিক জগতে টানাপোড়েন চলছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রেশনিং দুর্নীতি এবং আমফানের ক্ষতিপূরণের দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই তীব্র অভিযোগ করে আসছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এমনকি সাধারণ মানুষও একইভাবে বিরোধিতা শুরু করেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, সবরকম দুর্নীতি বন্ধ করার। জোর দেওয়া হয় শুদ্ধিকরণে। কিন্তু রাজ্যজুড়ে শুদ্ধিকরণ চললেও শাসক দলের অন্দরে যে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে তা ভাঙতে যে এখনো ঢের দেরী সে বিষয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। দুর্নীতি নিয়ে এবার শাসকদলের এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তৃণমূল পরিচালিত তমলুকের শ্রীরামপুর দুই পঞ্চায়েত অফিসে। শাসক দলেরই বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তমলুকের শ্রীরামপুর দুই পঞ্চায়েত প্রধানসহ অন্যান্যরা। জানা গেছে, এদিন পঞ্চায়েত অফিসে দুর্নীতি নিয়ে বৈঠকেই রীতিমতো উত্তপ্ত কথাবার্তা চলে। এমনিতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আমফান ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির জন্য আন্দোলন চালাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু এবার বিরোধী দল বিজেপির পাশাপাশি একই অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূলেরই একাংশ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ধরনায় বসে। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল আলোড়ন। অনেকেই মনে করছেন, এই ঘটনার পেছনে রয়েছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যদিও এই তত্বের পেছনে কাজ করছে অন্য একটি ঘটনা। জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর 2 পঞ্চায়েত প্রধান নিশিকান্ত জানা জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেড়ার অনুগামী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে ওই একই অঞ্চলে সভাপতি হল কমল প্রামাণিক। এই কমল প্রামাণিক নিশিকান্ত জানার বিপরীত শিবিরের ব্যক্তি বলে পরিচিত এলাকায়। এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় দুই পক্ষের বিরোধ সামনে এসেছে। সম্প্রতি আম্ফান ক্ষতিপূরণ নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর। আর তার ফলস্বরূপ এ দিনের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে শ্রীরামপুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার 78 জন হয়েছেন আম্ফানে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁদের জন্য ক্ষতিপূরণ এসেছে 2000 টাকা এবং 311 জন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পেয়েছেন মাথাপিছু 5000 টাকা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এমন বেশ কিছু ব্যাক্তি ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন যাদের দোতলা বাড়ি রয়েছে। আর এই সূত্রে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ আরো বেশি করে প্রকাশ পেয়েছে। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর লোকজন দুর্নীতি ইস্যুতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছে। আমফানের ক্ষতিপূরণ আরো বিভিন্ন দুর্নীতি প্রসঙ্গ এখন উঠে আসছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, দলের কিছু লোকজন ভিত্তিহীন অভিযোগ জানিয়েছে। অন্যদিকে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জানিয়েছেন, পুরো ব্যাপারটি পঞ্চায়েতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু দলের বেশ কিছু লোকজন ব্যাপারটিকে নিয়ে ঊশৃংখল আচরণ করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে, তা কিন্তু আগামী দিনে তৃণমূল শিবিরকে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে ফেলতে পারে। অন্যদিকে এই ঘটনা বিরোধীদের রাজ্য প্রশাসনের প্রতি দুর্নীতির অভিযোগকে আরো পোক্ত করে তুলবে সে বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। আপাতত তমলুক অঞ্চলের এই ঘটনাকে কিভাবে সামাল দেয় তৃণমূল শিবির সেদিকেই এখন লক্ষ্য সবার। আপনার মতামত জানান -