এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শিক্ষক দিবসের দিনেই দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ মাস্টারমশাইয়ের, ফের ভাঙ্গনের আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরে

শিক্ষক দিবসের দিনেই দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ মাস্টারমশাইয়ের, ফের ভাঙ্গনের আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল শিক্ষক দিবসের দিনেই দলের প্রতি একের পর এক ক্ষোভ ও অভিযোগ করলেন মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই অভিধায় তাঁর বিশেষ পরিচিতি। সিঙ্গুর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত বিস্বস্ত সৈনিক ছিলেন তিনি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে হঠাৎ করেই তাঁর দলবদল। সিঙ্গুর থেকে প্রার্থীও করা হয়েছিল তাঁকে । কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেন নি তিনি। এবার দলের প্রতি একের পর এক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মাস্টারমশাই। দলে তিনি মানিয়ে নিতে পারছেন না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

এক কথায় বলা যেতে পারে যে, বিজেপির প্রতি এখন মোহভঙ্গ হয়েছে মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের। বিজেপির সঙ্গে তিনি আর নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছেন না। তিনি আক্ষেপ করেছেন, বিজেপির সংগঠনে ঘুন ধরে গেছে। তাকে দল বিশেষ সম্মান দেয় না বলেও আক্ষেপ করলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে তাকে পরাজিত করার পেছনে দলের একাংশের যথেষ্ট রকম ভূমিকা ছিল। তিনি জানান, গত ১০ ই এপ্রিল বিধানসভা ভোট ছিল সিঙ্গুরে। আর তার দুদিন আগেই বিজেপির স্থানীয় মন্ডল সভাপতি সহ সাত জন নেতা তৃণমূল প্রার্থী বেচারাম মান্নার সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি অভিযোগ করছেন যে, দলের একাংশের কারণেই নির্বাচনে পরাজিত হতে হয়েছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, তাঁকে প্রার্থী করতেই দলের একাংশ যথেষ্টভাবে আপত্তি জানান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, জোর করে তাঁকে প্রার্থী করায় দলের একাংশ কার্যত বসে গিয়েছিলেন বা তার বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন। আর এই জন্যই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে।

পরাজয়ের পরই দলের প্রতি বিমুখতা প্রকাশ পাচ্ছে তাঁর বক্তব্যে। মাস্টারমশাই জানাচ্ছেন যে, বিজেপিতে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। জেলা নেতৃত্তের মধ্যে সমন্বয় নেই। তাঁকে একবার চুঁচুড়ার একটি বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে তিনি গিয়েছিলেন, তবে এরপর তাঁকে আর কেউ ডাকেন নি। বিজেপিতে তাঁকে সম্মান জানানোর মতো কেউ নেই।

এরপর সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, তবে কি তিনি আবার তৃণমূলে ফিরবেন? এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন যে, আর তার ইচ্ছে নেই । অনেকে মনে করছেন,একেবারে ৯০ বছর বয়সে পৌঁছে যাওয়া মাস্টারমশাই সক্রিয় রাজনীতি থেকে ক্রমশ উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। তবে, শিক্ষক দিবসের দিনেই দলের প্রতি যেভাবে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুরের মাস্টার মশাই, তাতে তাঁকে নিয়ে বাড়তে শুরু করেছে নানা জল্পনা। সেই সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে আবার ভাঙনের আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!