এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সবুজসাথী সুপারহিট! লকডাউনে বাড়ি ফিরতে ভরসা দিদির দেওয়া সাইকেল! দাম উঠছে চড়চড়িয়ে!

সবুজসাথী সুপারহিট! লকডাউনে বাড়ি ফিরতে ভরসা দিদির দেওয়া সাইকেল! দাম উঠছে চড়চড়িয়ে!


ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্যের স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সবুজসাথী নামক প্রকল্প নিয়ে আসে মা-মাটি-মানুষের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে যায় সাইকেল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের এই সবুজসাথীর সাইকেল যে লকডাউনের সময় এতটা কাজে লাগবে, তা সত্যিই কল্পনা করা যায়নি।

বস্তুত, করোনা ভাইরাসকে আটকাতে লকডাউনের ফলে বিভিন্ন শ্রমিকরা বাইরে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন। তবে এবার সেই লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় তাঁরা নিজেদের বাড়ী ফেরার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন। আর এক্ষেত্রে সেই সমস্ত শ্রমিকরা বেছে নিচ্ছেন সবুজসাথীর সাইকেলকেই। সূত্রের খবর, এদিন দুই নম্বর জাতীয় সড়কের 10-12 জনকে পিঠে স্কুলের ব্যাগ, পরনে নীল সাদা পোশাক এবং মাস্কে মুখ ঢেকে সাইকেল করে যেতে দেখা যাচ্ছিল। তবে লকডাউনের সময় যেখানে স্কুল বন্ধ, সেখানে কেন তারা সাইকেল নিয়ে এভাবে যাচ্ছেন?

জানা গেছে, বর্ধমানের কেতুগ্রাম থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া এই সমস্ত ব্যক্তিরা পরিযায়ী শ্রমিক। তাদের একমাত্র লক্ষ্য এখন বাড়িতে পৌঁছনো। সেক্ষেত্রে তাদের সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের দেওয়া সবুজ সাথীর সাইকেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মহম্মদ সাবির আলম নামে এক শ্রমিক বলেন, “বিহার থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের কারখানায় কাজের জন্য এসেছিলাম। এই রাজ্যে লকডাউনে কারখানা বন্ধ। জমা পুঁজি যতটুকু ছিল, সেই নিয়ে দিন কাটছিল। কারখানা বন্ধ হওয়ায় মালিক কর্তৃপক্ষ টাকা-পয়সা দিচ্ছে না। তাই বাড়ি ফেরার উপায় বলতে এই সাইকেল।”

একাংশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সবুজসাথী সাইকেলের উপর ভর করে ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার মাধ্যম খুঁজে পেলেও, এতে বাড়তি টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন কিছু মানুষ। যাদের কাছে এরাজ্যে সবুজ সাথী সাইকেল পৌঁছেছে, তাদের কাছে সেই ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি পৌঁছানোর জন্য সেই সাইকেল কিনে নিচ্ছেন। আর এ রাজ্যের কিছু মানুষ সেই সাইকেল চড়া দামে সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্রি করছেন।

যার ফলে সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কিছুটা কষ্ট হলেও, তারা বাড়ি পৌঁছানোর জন্য সেই সাইকেল কিনে নিয়ে বাড়িতে রওনা দিচ্ছেন। তবে এর ফলে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছানোর একটা বন্দোবস্ত হলেও, দিনের শেষে একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সবুজ সাথী সাইকেল দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে তা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, তাতে সরকারের মূল ভাবনা রসাতলে গেল বলেই দাবি বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!