নিঃস্বার্থভাবে দলের সংগঠনে কাজ করা কর্মীদের এবার সামনের সারিতে আনছে তৃণমূল, কাজ হবে কি উঠছে প্রশ্ন? কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই বিভিন্ন দলীয় সংগঠনকে নতুন করে সেজে উঠতে দেখা গিয়েছিল। আর সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি তৃণমূল। সেক্ষেত্রে কিছুদিন আগেই দলের সংগঠনে বড় পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে জেলা, ব্লক, টাউন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেসও জেলা ভিত্তিক সংগঠনকে কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই অবস্থায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদও তাদের জেলার সংগঠনকে নতুনভাবে সাজাতে চাইছে বলে জানা গেছে। রাজ্যে ২৫টি জেলা কমিটি রয়েছে। তাতে বেশকিছু জায়গায় কমিটির সদস্যদের পদ পরিবর্তন করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এছাড়াও ১০-১৫ জনকে এগজিকিউটিভ কমিটিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কলেজের তৃতীয়বর্ষ উত্তীর্ণ ছাত্রদের জেলা কমিটিতে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে। আর কলেজের গেটে আন্দোলনের ক্ষেত্রে নতুন মুখগুলিকেই সামনের সারিতে আনা হচ্ছে। উৎসব পর্ব মিটলে ছাত্রস্বার্থে আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান হচ্ছে। আর তাই সম্প্রতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পড়াশোনার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাদা দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের সংগঠনের জায়গা করে দিতে চাইছে বলে জানা গেছে। বস্তুত, দেখতে গেলে, সংগঠনে এমন অনেক কর্মী আছেন যাঁরা হয়তো ভালো বক্তব্য রাখতে পারেন না। কিন্তু দলের কর্মসূচিতে সবসময় তাঁদের পাওয়া যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কর্মসূচি সফল করতে তাঁদের মধ্যে কেউ রাত জেগে পতাকা টাঙিয়ে, কেউ মিটিং-মিছিলে কাঁধে পতাকা নিয়ে স্লোগান দিয়ে, কেউ আবার কোনও কর্মসূচির জন্য দিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে পোস্টার লেখেন। তাই পড়াশোনার সঙ্গে খেলাধুলা, সঙ্গীতচর্চাতে যাঁরা পারদর্শী তাঁদের অনেককেই একসঙ্গে করে জেলাভিত্তিক এগজিকিউটিভ কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে জানা গেছে, এই কমিটিতে রাখা হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী এমন কর্মীদের। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এদিন এই বিষয়ে বলেন, “প্রতিটি জেলাতেই এমন অনেক কর্মী আছেন যাঁরা সংগঠনকে প্রাণপণে ভালোবাসেন। তাঁদের পরিশ্রম বাকিদেরও যাতে উদ্বুদ্ধ করে, সেদিকেই বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে।” সেইসঙ্গে তাঁর মতে খেলাধুলা, গান-বাজনা, লেখালেখিতে পারদর্শী কর্মীদের সামনের সারিতে নিয়ে এলে, তাঁদের মাধ্যমে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবেন বলেও মনে করছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -