সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরবার তৃণমূল, ইস্তফা হেভিওয়েট নেতার! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য July 5, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূল কংগ্রেসে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আর তার জ্বলন্ত প্রমাণ পাওয়া গেল মালদহে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদ থেকে এক তৃণমূল নেতার পদত্যাগ পত্র পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে। যার ফলে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদহের রতুয়া 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে। জানা গেছে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে আস্থা রাখতে পারছেন না একাধিক সদস্য। যার ফলে সেই পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়ে বিডিওকে তার চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রতুয়া 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শাসকদলের 18 জন সদস্য গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। ফলে এখানে তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার পর বিজেপিতে যাওয়া সমস্ত সদস্যরা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। যার ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এবার সেখানেও শুরু হয়ে গেল গোষ্ঠী কোন্দল। যেখানে তিনি উন্নয়নের কাজ করতে পারছেন না বলে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে বিডিওকে চিঠি পাঠালেন সাধন চক্রবর্তী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে রতুয়াতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। জর্জরিত পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত কাজ। মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু আমি উন্নয়ন করতে পারিনি। বিগত তিন বছর ধরে উন্নয়নের কাজ বন্ধ। শুধু রাবার স্ট্যাম্প হয়ে বসে আছি। মানুষের জন্য কোনো কাজ করতে পারিনি। তাই সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছি।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনার ফলে আরও একবার প্রকট হয়ে গেল, মালদহ জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার সাথে সাথেই রীতিমতো শাসক দলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যদিও বা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে দীর্ঘদিন ধরেই মালদহ জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছিল জেলা এবং রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু তারপরেও যে সমস্যা মেটেনি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে বিডিওকে চিঠি দিয়ে এক সদস্যের ইস্তফা দেওয়ার ঘটনাতেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনা করতে শাসক দল গোষ্ঠীকোন্দল বন্ধ করার ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -