শোভনের বিজেপিতে মনোমালিন্যশুরু হতেই তৃণমূলে ফেরার আশঙ্কায় গৃহযুদ্ধ শাসকদলে, দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি কলকাতা জাতীয় রাজ্য September 10, 2019 এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন বর্তমান বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি এবং তার জেরেই ধীরে ধীরে দলনেত্রীর সাথে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে শোভনবাবুর। ফলস্বরুপ কলকাতা পৌরসভার মেয়র এবং রাজ্যের মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা যায় তাকে। বান্ধবীর অপমান তিনি কোনমতেই সহ্য করতে পারবেন না বলে দীর্ঘদিন তৃণমূল বিধায়ক থাকলেও সেইভাবে দলের কোনো কর্মসূচিতে দেখা যেত না শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর তারপর থেকেই জল্পনা ছড়ায় তাহলে হয়ত এবার শোভন চট্টোপাধ্যায় জার্সি বদল করতে পারেন। অবশেষে গত 14 আগস্ট তৃণমূল ছেড়ে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাথে নিয়ে বিজেপির দিল্লি সদর দপ্তরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের পতাকা নিজের গলায় পড়ে নেন কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর শোভনবাবু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর সকলের কাছে এই ঘটনা প্রত্যাশিত থাকলেও তাতে কিছুটা হলেও আঘাত পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এতটাই স্নেহ করতেন যে, তাকে শোভন অপেক্ষা কানন নামেই বেশি চিনত রাজ্যবাসী। অন্যদিকে তৃণমূলে থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিজের মোবাইল নম্বরে “মা” বলে সেভ করে রেখেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফলে এহেন একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান অনেকটাই ধাক্কা দিয়েছিল তৃণমূলকে। তবে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই যেভাবে শোভনবাবু এবং বৈশাখীদেবীকে নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া এসেছে, তাতে এখন গেরুয়া শিবিরের প্রতি অনেকটাই ক্ষুন্ন সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন মহলের তরফে গুঞ্জন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে বিজেপির প্রতি হয়ত এবার ক্ষুব্ধ শোভন চট্টোপাধ্যায় ফের তার পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যেতে পারেন। তবে সমালোচক মহলের একাংশ যখন এই দাবি করছে, ঠিক তখনই তৃণমূলের তরফে অনেক কর্মী সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ব্যাপারে তাদের বিদ্রোহ দেখাতে শুরু করেছে। অনেকেই সোশ্যাল সাইটে এখন দাবি করতে শুরু করেছেন, যদি শোভন চট্টোপাধ্যায় আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন, তাহলে তারা আর তৃণমূলে থাকবেন না। আর এই ঘটনাই এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতি। অনেকেই বলছেন, আসলে শোভন চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে তিনি দলবদল করলেন তা তৃণমূলের অনেকের কাছেই আঘাতের কারণ। আর তাই তিনি যদি আবার দলে ফিরে আসেন, তাহলে তাকে সুবিধাবাদী হিসেবেই ধরা হবে। তাই তিনি দলে ফিরে আসলে এবং দল যদি তাকে গ্রহণ করে, তাহলে অনেক প্রকৃত তৃণমূল কর্মী দল ছাড়তে পারেন। ফলে এখন সোশ্যাল সাইটে এই ব্যাপারে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু সত্যি সত্যিই কি তাহলে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফিরে আসছেন! এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল কিংবা বিজেপির তরফ কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।বা শোভনবাবু ও বৈশাখীদেবীও যে বিজেপি ছাড়ছেন সে কথা বলেননি। তবুও যদি ফিরে আসেন এই আশঙ্কা নিয়ে ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আপনার মতামত জানান -