এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সৌজন্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! সভাধিপতি নির্বাচনে কৌশলী পদক্ষেপ তৃণমূলের! কটাক্ষ বিরোধীদের!

সৌজন্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! সভাধিপতি নির্বাচনে কৌশলী পদক্ষেপ তৃণমূলের! কটাক্ষ বিরোধীদের!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মালদহ জেলা পরিষদে ব্যাপক ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয় তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডল সহ একাধিক সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেয় ভারতীয় জনতা পার্টিতে। পরবর্তীতে অবশ্য অনেক সদস্য আবার ফিরে আসে ঘাসফুল শিবিরে। রাজ্যে বহু চেষ্টা করেও ক্ষমতা দখল করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলে বিজেপিতে যাওয়া জেলা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপিতে যাওয়া জেলা পরিষদের বর্তমান সভাধিপতির গৌড়চন্দ্র মন্ডলকে অপসারণ করার ব্যাপারটিতেই বেশি নজর দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে আগামী জুলাই মাসের 8 তারিখে বর্তমান সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডলকে অপসারণের ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা পর্ব সম্পন্ন হবে। আর বর্তমান সভাধিপতিকে অপসারণ করার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে কাকে মুখ করা হবে, এখন সেটাই বড় প্রশ্নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একাংশ বলেছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে আগেভাগে জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে কারও নাম ঘোষণা করার সাহস নেই। কেননা মালদহ জেলা তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। সেক্ষেত্রে কোনো একজনের নাম আগে থেকে ঘোষণা করে দিলে, অন্যপক্ষ বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে। যার জেরে জেলা পরিষদে আবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই আগেভাগেই সভাধিপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করে নিজেদের বিপদ বাড়াতে চাইছে না ঘাসফুল শিবির। এক্ষেত্রে বেশ কিছু নাম নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম কালিয়াচকের চন্দনা সরকার রতুয়ার শামসুল হক এবং চাচোলের এটিএম রফিকুল। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খুলতে চাইছে না ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কে হবেন জেলা পরিষদের পরবর্তী সভাধিপতি? এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “এটুকু বলতে পারি ভোটের আগে যে বা যারা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে গিয়ে আমাদের দলনেত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তাদের অন্তত কোনো গুরুত্ব দেওয়া হবে না। আর সভাধিপতি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” স্বাভাবিক ভাবেই মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন এখন কার্যত লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।

যার জেরে এখন তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, নিজেদের ঘর সামলানোর মত অবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের নেই। তাই সভাধিপতি নির্বাচন করতে আগে থেকে নাম ঘোষণা করার সাহস দেখাচ্ছে না তারা। তবে দিনের শেষে জেলা পরিষদের সভাধিপতি গঠন করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কাকে মুখ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এবং সেই ঘোষণা কবে করে শাসক দল, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!