এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মধ্যপ্রদেশ অনেক কিছু শেখাচ্ছে, শুভেন্দু নিয়ে এখনও সাবধান হন, মমতাকে বার্তা দলীয় কর্মীদের

মধ্যপ্রদেশ অনেক কিছু শেখাচ্ছে, শুভেন্দু নিয়ে এখনও সাবধান হন, মমতাকে বার্তা দলীয় কর্মীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনে বিজেপির বড় জয় কি ভাবাতে শুরু করল পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মধ্যপ্রদেশের 28 টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। যেখানে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পরীক্ষা হবে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল।

জানা যায়, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যখন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন, তখন তার সাথে দলবদল করেন কংগ্রেসের 25 জন বিধায়ক। আর তারপরেই মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের পতন হয়। আর বর্তমানে 28 টি আসনের উপনির্বাচন মধ্যপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে 25 টি আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামীরা।

এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে এই 28 টি আসনের মধ্যে বিজেপি 12 টিতে জয়লাভ করেছে এবং 7 টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস 2 টি আসনে জয়লাভ করেছে এবং বাকি 7 টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে নিয়ে নানা মহলে জল্পনা চললেও, তিনি তার অনুগামীদের জয়লাভ করিয়ে কার্যত প্রমাণ করে দিলেন যে, তাকে নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, তার ভাবমূর্তি এখনও অটুট।

দলবদল করলেও নিজের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি এবং সাংগঠনিক দক্ষতার জেরে নিজের অনুগামীদের জয়লাভ করিয়ে তিনি কার্যত প্রমাণ করে দিলেন তার সাংগঠনিক ক্ষমতা বলে দাবি একাংশের। মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনা এখন বাংলায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব নিয়ে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে যে, মধ্যপ্রদেশ নিয়ে এবার ভাবা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

কিন্তু কেন অন্য রাজ্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাববেন! যেখানে সামনে 2021 এ বাংলায় নির্বাচন রয়েছে! একাংশ বলছেন, এর পেছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। কেননা বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীকে মান ভাঙ্গিয়ে দলে সক্রিয় করার কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না তৃনমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। তাই এই পরিস্থিতিতে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মত যদি শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করেন, তাহলে তার হাত ধরে অনেক বিধায়ক তৃণমূল ত্যাগ করতে পারেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের সবথেকে বেশি জনপ্রিয় শুভেন্দু অধিকারী যদি সত্যি সত্যিই দলত্যাগ করার মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে তা তৃণমূলের কাছে বড় ফাটলের কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন একাংশ। অনেকেই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে এই ব্যাপারে সতর্কবার্তা জারি করতে শুরু করেছেন। তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহলের অনেকে বলছেন, অবিলম্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত।

যদি শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে দূরত্ব তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে তা মিটিয়ে নিয়ে দলের সক্রিয় করা উচিত রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। আর তা যদি না করা হয়, তাহলে দলের সঙ্গে যেমন শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব বাড়তে শুরু করবে, ঠিক তেমনই আগামী দিনে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মত দলত্যাগ করে শুভেন্দুবাবু তার প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে শিক্ষা দিতে পারেন বলে দাবি একাংশের।

স্বভাবতই মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর এখন এই বিষয় নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। কেননা একথা প্রায় সকলেই জানেন, গোটা রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীর একগুচ্ছ অনুগামী রয়েছেন। যখন যে জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, সেখানে মুশকিল আসান হিসেবে ঘাসফুল ফুটিয়েছেন এই শুভেন্দু অধিকারী।

কিন্তু এখন তিনি গুরুত্ব না পাওয়ায় ক্রমশ দল এবং সরকারের থেকে দূরত্ব পালন করছেন। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। কিন্তু তা সত্বেও তার সঙ্গে আলোচনায় বসছে না ঘাসফুল শিবিরের প্রথম সারির নেতারা। যার ফলে অনেকেই মধ্যপ্রদেশের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করেছেন, এবার শুভেন্দু অধিকারী না জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মত হয়ে দাঁড়ায়।

শেষ পর্যন্ত যদি শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তিনি যে শুধু দলত্যাগ করেই ক্ষান্ত থাকবেন না, তা কার্যত পরিষ্কার। সেদিক থেকে তিনি তার প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে যে হাড়ে হাড়ে শিক্ষা দেবেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের কাছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব মেটে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!