এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিদ্রোহীদের ছেঁটে ফেলে কংগ্রেসে রাহুলের প্রত্যাবর্তনের পথ মসৃন করতে মরিয়া খোদ সোনিয়া গান্ধী?

বিদ্রোহীদের ছেঁটে ফেলে কংগ্রেসে রাহুলের প্রত্যাবর্তনের পথ মসৃন করতে মরিয়া খোদ সোনিয়া গান্ধী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কংগ্রেস দলটিকে একটি ‘পারিবারিক রাজতন্ত্রের দল’ বলে অনেক সময় কটাক্ষ করে থাকে থাকেন বিরোধীরা। বিরোধী পক্ষ থেকে বারবার বলা হয় যে, গান্ধী পরিবারের বিরোধিতা করলে কংগ্রেস দলে তার সম্মান ও প্রতিপত্তি নিয়ে টিকে থাকা একপ্রকার অসম্ভবই হয়ে পড়ে। আর বিরোধীদের এই দাবি যে অমূলক নয়, তার প্রমাণও পাওয়া অনেকবার। ইতিপূর্বে কংগ্রেসে থেকে গান্ধী পরিবারের বিরোধিতা করায় বহু কংগ্রেস নেতাকে হয় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, নয়তো ক্ষমতাচ্যুত করে দলের শোভাবর্ধনের কাজেই শুধু তাকে রেখে দেয়া হয়েছে।

আবারও এরকম ঘটনা ঘটতে দেখা গেল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের গান্ধী পরিবার বিরোধী কংগ্রেস নেতাদের গুরুত্বহীন করে দিলেন। প্রসঙ্গত, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কংগ্রেস দলের অবস্থান নির্ধারণ করতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যসভা ও লোকসভার জন্য কংগ্রেস দলের একটি নতুন কমিটি তৈরি করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। অভিযোগ উঠেছে, গান্ধী পরিবারের বিরোধী নেতাদেরকে গুরুত্বহীন করে দিয়ে, আলোকিত করা হয়েছে গান্ধী পরিবারের প্রতি অনুরক্তদেরকে।

প্রসঙ্গত আগামী শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভার নীতি নির্ধারণের জন্য কংগ্রেসের নতুন কমিটি গঠন করা হলো। সেই কমিটিতে গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজন ৩ জন নেতা বেশ বড় দায়িত্ব পেলেন। যারা হলেন সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিব ও সেইসঙ্গে কেদ্রীয় কংগ্রেস দলের কোষাধক্ষ্য আহমেদ প্যাটেল, কংগ্রেস দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কংগ্রেসি মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। এই তিনজনই গান্ধী পরিবারের একনিষ্ঠ সমর্থক বলে পরিচিত আছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যসভার কমিটিতে গুরুত্বহীন হয়ে পড়লেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ও সেইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী আজাদ ও তার সঙ্গই রাজ্যসভার কংগ্রেসি ডেপুটি লিডার আনন্দ শর্মা। যদিও রাজ্যসভা থেকে তাঁরা হারিয়ে যাননি, কিন্তু গুরুত্বহীন হয়ে গেলেন। আর তাদের উপর এখন কর্তৃত্ব করতে পারবেন আহমেদ প্যাটেল, জয়রাম রমেশ এর মতো কংগ্রেসি নেতারা। অন্যদিকে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য গঠিত লোকসভার বিশেষ কমিটিতেও একই রকম চিত্র চোখে পড়লো।

এখানে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ তথা আস্থাভাজন নেতারাই রইলেন ।রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত আস্থাভাজন নেতারা যেমন – গৌরব গগৈ, পাঞ্জাবের রণবীর সিং বিট্টো, তামিলনাড়ুর মণিক্কম ঠাকুর, পশ্চিমবঙ্গের অধীর চৌধুরী প্রমুখরা পেলেন বড় পদ। অন্যদিকে এই কমিটি থেকে বিদায় নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। সেই সঙ্গে এই নতুন কমিটিতে গুরুত্বহীন হয়ে পড়লেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি। প্রসঙ্গত সম্প্রতি এ দু’জন এই রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার বিষেদাগার করেছিলেন।

অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর বিশেষ ঘনিষ্ট হবার পুরস্কার পেলেন গৌরব গগৈ। রাহুল গান্ধীর কৃপায় তিনি হুইপ থেকে হয়ে উঠলেন রাজ্যসভার ডেপুটি কংগ্রেসি লিডার। আর হুইপ হলেন রণবীর সিং বিট্টো। রাজনৈতিক মহলের ধারণা গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করা একাধিক কংগ্রেস নেতাদের দলে গুরুত্বহীন করে দিয়ে দলকে একপ্রকার সতর্কবাণী দিলেন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন কংগ্রেস দলে থাকতে হলে দলের নীতি নিয়ম মেনে চলতেই হবে তবে। তবে এই নিয়ম আর কিছুই নয়, তাহলো গান্ধী পরিবারের প্রতি ভক্তি ও আনুগত্যের নিয়ম আর গান্ধী পরিবারের প্রতি বিরোধিতার করলে কি জুটতে পারে তাও তিনি পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!