এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ২০২১ এর আগে বিজেপি আতঙ্কে কাঁপছে তৃণমূল! শীর্ষ-নেতার লেখা ঘিরে তীব্র শোরগোল শাসক দলে!

২০২১ এর আগে বিজেপি আতঙ্কে কাঁপছে তৃণমূল! শীর্ষ-নেতার লেখা ঘিরে তীব্র শোরগোল শাসক দলে!

2019 এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল সেই অর্থে খুব একটা ভালো ফল করতে পারেনি। অন্যদিকে, গোটা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি শিবির 2019 এর লোকসভা ভোটে দারুণ তাক লাগানো ফল করে। 2014 থেকে 2019, বিজেপি 2 থেকে 18 য় উঠে এসেছে। পাঁচ বছরে বিজেপির উন্নতি দেখার মত। বিজেপির এবার লক্ষ্য 2021 এর বিধানসভা ভোট। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই 2019 এর লোকসভা ভোটে বিপুল জয়ে বিজেপি শিবিরে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।

আর সেই আত্মবিশ্বাসে ভর দিয়ে বিজেপি তাদের সংগঠনকে ক্রমাগত পশ্চিমবঙ্গে বাড়িয়ে চলেছে। তবে কি অশনি সংকেত দেখতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস? আর তাই কি তা একেবারে লিখিত আকারে প্রকট হয়ে উঠল শাসকদলের অন্যতম শীর্ষনেতার লেখনীতে? এর আগে 2016 সালে বাম কংগ্রেস জোট বেঁধেছিল এরাজ্যে। কিন্তু শাসক দল সেই জোটকে বিশেষ পাত্তা দেয়নি এবং যথারীতি বিপুল আসনে জয়লাভ করে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসে তৃণমূল।

কিন্তু এবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে কিনা তা নিয়ে তৃণমূল দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। আর সেই জল্পনাকেই লেখার আকারে প্রকাশ করে ফেলেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি। ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যায় লেখা প্রবন্ধের বেশিরভাগ জুড়েই রয়েছে বিজেপি আতঙ্ক। শনিবার নজরুল মঞ্চে জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংখ্যাটিতে সুব্রত বক্সীর একটি প্রবন্ধ রয়েছে – যে লেখা ঘিরে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

কেননা সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধের একটা অংশে লেখা রয়েছে 2014 সালের মতই 2019 সালে বিজেপির নানা চমক ও প্রতিশ্রুতিতে সারা ভারতের মানুষ ভুলে যায়। আর এর সাথে সাথেই আছে ভোটে কারচুপি, ইভিএমে গরমিল ইত‍্যাদি। ঠিক এর পরেই বিজেপি শিবিরের হাত থেকে সতর্ক করেছেন তিনি সবাইকে। এমনকি, দলের নেতাকর্মীদের জন্য তিনি দিয়েছেন সাবধানবাণী – 2021 সালের কথা মাথায় রেখে তৃণমূলকে জোট বদ্ধ ভাবে তৈরি হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তার আগে পুরসভার নির্বাচনগুলি হচ্ছে অ্যাসিড টেস্ট এর মত বলে জানিয়েছেন সুব্রতবাবু। এই নির্বাচনগুলিকে জেতার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, পুরসভার নির্বাচনই সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন সুব্রত বক্সী। আর এইসব পড়ার পরেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা – দলের সর্বভারতীয় সভাপতির আশঙ্কা যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তাতে কিন্তু মনে হচ্ছে তৃণমূল দলের আত্মবিশ্বাসের ভিতে আঘাত লেগেছে। যা নিঃসন্দেহে বিধানসভা নির্বাচনের আগে চিন্তা বাড়াবে শাসকদলের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি শিবির কিন্তু 2021 এর বিধানসভা দখলের লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে। তাই বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে বিজেপি তার লক্ষ্যমাত্রা সেভাবে বাড়িয়ে দেবে। ঝাঁপিয়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে। কারণ পশ্চিমবঙ্গ দখলের চিন্তা তাদের বহুদিনের। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের আত্মবিশ্বাসে যদি আঘাত লাগে, তা কিন্তু বিজেপির ঘরে সুবিধা এনে দেবে। একইসঙ্গে তাঁদের বিশ্লেষণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি না নিজের আত্মবিশ্বাস এবং দলের আত্মবিশ্বাসকে আবার সুনিপুনভাবে গড়ে তুলতে পারেন – তাহলে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তার দলের হার নিশ্চিত।

কারণ বিজেপি আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে 2019 সালের লোকসভা ভোটে দুর্দান্ত ফলাফলের পর থেকেই। তার ওপর তাদের এবারের লক্ষ্য 2021 এর বিধানসভা ভোট। এই ভোট পর্ব পেরোতে তারা যে বিপুল শক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়বে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল জোর গলায় প্রচার করেছিল – রাজ্যে বিজেপি নাকি কোথাও নেই! গেরুয়া শিবির এই রাজ্যে ‘গোল্লা’! আর সেখানেই এখন তৃণমূলের সভাপতি প্রতি ছত্রে শুধু বিজেপি সম্পর্কেই লিখে যাচ্ছেন!

অর্থাৎ, বিজেপি কোথাও নেই বা বিজেপি মূল প্রতিপক্ষ নয় – একথা বিধানসভা নির্বাচনে আর জোর গলায় বলার জায়গায় থাকবে না শাসকদল। আর তাই, বিজেপি এলে কি হবে সেই ‘জুজু’ তুলে ধরে গোষ্ঠীকোন্দল ভুলে এক হওয়ার বার্তা দিতে চাইছেন সুব্রতবাবু? কিন্তু, এতে তো উল্টে বিজেপির দাপট যে বাংলায় কতখানি বেড়েছে তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল! সব মিলিয়ে তৃণমূল শীর্ষনেতা সুব্রত বক্সীর পূজা সংখ্যায় লেখা ঘিরে শাসকদলের অন্দরে তো বটেই, তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলেও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!