এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্যে ফের উতপ্ত শিক্ষাঙ্গন, পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে

রাজ্যে ফের উতপ্ত শিক্ষাঙ্গন, পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে

কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছাত্রদের ঝামেলায় বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বারবার। এবার বেশ কয়েকদিন শান্ত থাকার পর আবারও আজ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদার গণিখান চৌধুরি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাম্পাস।সকাল থেকেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।পুলিশের সামনেই নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের মারে বলে অভিযোগ করা হয়েছে পড়ুয়াদের তরফ থেকে।

অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীদের মারে এখনও পর্যন্ত ৫ জন পড়ুয়া আহত হয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠানের। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তাদেরকে রীতিমতো লাঠিপেটার হুমকি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,৩টি কোর্সের অ্যাফিলিয়েশন ও বি.টেক ল্যাটারাল এন্ট্রির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন জিকেসি আইআইটি- র পড়ুয়াদের একাংশ। আজ প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সায়েন্স ও সিভিল বিষয়ে ডিপ্লোমা বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা ছিল। গোপীনাথ রাজবংশী নামে এক ছাত্রের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর পরমেশ্বর রাও আলাপতি ছাত্রদের জানিয়েছিলেন, এই পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর তাঁদের ল্যাটারাল এন্ট্রিতে বি.টেক-এ ভরতি নিয়ে নেওয়া হবে।

কিন্তু এ বিষয়ে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তাদের কোন লিখিত দেওয়া হয়নি।আর তাই লিখিত প্রতিশ্রুতি আদায় করতে আজ পরীক্ষা শুরুর আগে তাঁরা ডিরেক্টরের অবর্তমানে রেজিস্ট্রার আবদুল রাজ্জাকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে রাজ্জাক সাহেব তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন।

এরপরেই রাজ্জাক সাহেবের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষীদের ইনচার্জ উত্তম ঘোষ তাঁদের মারধরের নির্দেশ দেন। উত্তমবাবুর নির্দেশ পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের উপর মারধর শুরু করে। নিরাপত্তারক্ষীদের মারে বিশ্বজিৎ কর্মকার, মাঞ্জারুল হোসেন, কুণাল ঘোষ ও সুজন সরকারনামে ৫ জন ছাত্র গুরুতর আহত হয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি ৷

পড়ুয়াদের অভিযোগ, পরে মালদা থানার পুলিশের উপস্থিতিতে নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রদের মারধর করতে গেলে ছাত্ররা সেই ছবি তুলতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এমনকী ছাত্রীদের সঙ্গেও পুলিশ খারাপ আচরণ করে। আহত চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকায় তারা এনিয়ে এখনও পুলিশে অভিযোগ জানাতে পারেনি ৷ তবে গোটা ঘটনা নিয়ে তাঁরা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করতে চলেছেন ৷

অন্যদিকে, এক ছাত্রী পুরো ঘটনার ভিডিও করলে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বলেন, “ক্যামেরা করলে মোবাইল ভেঙে দেব।” তখন ওই ছাত্রীও পাল্টা বলেন, “আপনি কেন আমার মোবাইল ভাঙবেন ?” এরপর আরও তর্কাতর্কি শুরু হয়। সেসময় ওই পুলিশকর্মী বলেন, “ভাষা ঠিক করুন। নাহলে এইটা দেখছেন(লাঠি দেখিয়ে), এইটা দিয়ে পেটাব। কপালে কিন্তু দুঃখ আছে। যারাই বাজে ভাষা ব্যবহার করবে তাদের কপালে দুঃখ আছে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে,রাজ্জাক সাহেবের বক্তব্য, “আজ বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা ডিপ্লোমা বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পরীক্ষার্থীদের বাধা দেয় ৷ তারা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায় ৷ নিরাপত্তারক্ষীদেরও মারধর করে ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মালদা থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ৷ পরে পুলিশের উপস্থিতিতে নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ এই ঘটনার জন্য ওই পড়ুয়ারাই সম্পূর্ণভাবে দায়ি৷”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!