এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অনুগামীরাও কি পা বাড়িয়ে তৃণমূলের দিকে? আবার কি বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরে?

শুভেন্দু অনুগামীরাও কি পা বাড়িয়ে তৃণমূলের দিকে? আবার কি বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ডিসেম্বর মাসে শুভেন্দু অধিকারী যখন বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে তাঁর বহু অনুগামীও যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর আবার তৃণমূলের ফেরার স্রোত তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর বেশকিছু অনুগামী তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়েছেন। তৃণমূলের সবুজ সংকেত মিললেই তাঁরা যোগদান করবেন তৃণমূলে। ফলে, আবার বড়োসড়ো বিপাকে পড়তে চলেছে বিজেপি শিবির।

গত ডিসেম্বর মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর বহু অনুগামী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দুলাল মন্ডল, কাবেরী চট্টোপাধ্যায়, প্রণব প্রণব বসু, অমূল্য মাইতি, রমাপ্রসাদ গিরি, তপন দত্ত প্রমুখরা। যাদের মধ্যে কাবেরী চট্টোপাধ্যায় জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ ছিলেন, দুলাল মণ্ডল ছিলেন তৃণমূল কিসান ক্ষেতমজুর সংগঠনের জেলা সভাপতি। তপন দত্ত জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ ছিলেন, প্রণব বসু ছিলেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুর প্রধান।

এদের মধ্যে অমূল্য মাইতিকে সবং থেকে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছিল, নারায়ণগড় থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল রমাপ্রসাদ গিরিকে। আবার এদের মধ্যে অনেককেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। তবে, দুলাল মন্ডল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নেন নি। এখন অনেকেই কেন্দ্রের নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন, অনেকে ছেড়ে দিতে চাইছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কাবেরী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনো তিনি তৃণমূলই করেন, গড়বেতার বিধায়ক উত্তরা সিংহের হয়ে প্রচারে নেমে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি মুকুল রায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেন তিনি। জেলা তৃণমূলের বেশ কিছু নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। জেলা পরিষদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন তিনি।

অন্যদিকে, দুলাল মন্ডল জানিয়েছেন যে, বিজেপিতে তিনি যোগ দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু একদিনের জন্যও বিজেপি করেন নি। এখনো মনেপ্রাণে তৃণমূলে আছেন তিনি। তপন দত্ত জানিয়েছেন, উপেক্ষিত হয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন তিনি। অসম্মানিত হয়ে কোথাও থাকতে পারবেন না। এই মুহূর্তে তিনি কিছু বলতে চান না। তৃণমূলের কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

শুভেন্দু অনুগামীদের কি আবার তৃণমূলে নেয়া হবে? এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, কাউকে দলে ফেরাতে গেলে রাজ্য নেতৃত্তের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। রাজ্য নেতৃত্ব যদি অনুমতি দেয় তবে জেলায় পদক্ষেপ নেয়া হবে। আবার সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, মুকুল রায়ের অনুগামীরাও এবার দলে ফিরবেন। শুভেন্দু অধিকারীর ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে, তাঁর অনুগামীরা দলে ফেরার চেষ্টা করেছেন। অনেকে মনে করছেন, দল তাদের প্রত্যাবর্তনের সবুজ সংকেত শীঘ্রই দিতে পারে।

তবে, বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয় নিয়ে বিজেপি শিবির। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, দু-একজন দল ছেড়ে যেতেই পারেন, এতে দলের কোনো সমস্যা হবে না। অপর এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন যে, বিজেপিতে যারা দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছেন, তৃণমূল থেকে যারা এসেছিলেন কিছু পাবার আশায়, তারা যদি চলে যেতে চান, তবে সচ্ছন্দে যেতে পারেন। দলে থেকে অন্তর্ঘাত করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!