প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – “আমি এখনও একটা দলের প্রাথমিক সদস্য। মন্ত্রিসভার সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী আমায় তাড়াননি আমিও ছাড়িনি।” শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা যিনি বলেছেন, তিনি আর কেউ নন, সাম্প্রতিককালের সবথেকে আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শুভেন্দু অধিকারী। যাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে ইতিমধ্যেই এই প্রভাবশালী নেতাকে নিজেদের দলে নিয়ে আসার জন্য বক্তব্য রাখতে শোনা গিয়েছিল বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস থেকেও। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে কথা বলে তাঁকে নিজের দলে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন বহু রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরাই। কিন্তু এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলায় দাদার অনুগামী হওয়ার পোস্টার নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল একাধিক মানুষকে।

তাই সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী যে আলাদা করে নিজের দলও গঠন করতে পারে, সেটাও মনে করেছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে নিয়ে আগেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। তবে সম্প্রতি রামনগরের সভায় শুভেন্দু অধিকারীর বক্তৃতার পর আবারও শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল তাঁকে।

এদিন তাঁকে বলতে দেখা গেছে, “পাছে শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে চলে যান এই ভয়ে কাঁপছে তৃণমূল। এখন ওরা শুভেন্দুর হাত পা ধরছে। আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গিয়ে শুভেন্দুর হাত-পা ধরতে হবে”। বস্তুত, এদিন দুপুর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অধীর চৌধুরীকে।

তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর যেগুলি কংগ্রেসের জেলা বলে পরিচিত সেখানে গিয়ে কংগ্রেসকে ধ্বংস করার কাজ করেছেন। কিন্তু শুভেন্দুকে এভাবেই এগিয়ে দিলেও সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সামনে আসেননি। সেইসঙ্গে নন্দীগ্রাম আন্দোলনেও শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকার কথা ফের তুলে ধরতে দেখা গেছে তাঁকে।

অন্যদিকে, অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন যে শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে কংগ্রেসে আসতে পারেন। সেইসঙ্গে এদিন রামনগরের মঞ্চে ইন্দিরা গান্ধীর বড় ছবি দেখে অনেকের মনে সেই ধারণা আরো জোরালো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু এদিন যা বলেছেন তাতে তিনি যে আপাতত তৃণমূলেই আছেন সেইটাই পরিষ্কার করে দিয়েছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।