এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ থেকে শিল্প – আরটিআই করে সরকারের উপর চাপ বাড়ালেন সুজন চক্রবর্তী

মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ থেকে শিল্প – আরটিআই করে সরকারের উপর চাপ বাড়ালেন সুজন চক্রবর্তী

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতবার সরকারি সফরে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন?সেই সফরে তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন কারা,কারা? হোটলে ভাড়া কত ছিল? সব সফরে মোট কত খরচা হয়েছে? শিল্প সংক্রান্ত কতগুলো উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য স্বাক্ষরিত হয়েছে? বাস্তবে সেই শিল্পের খাতে লগ্নিই বা কত এসেছে? এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রশ্নের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাঁড় করালেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনে এই প্রশ্ন গুলোর উওর জানাতে চাইলেন রাজ্যের অর্থ এবং শিল্প দপ্তরের কাছে। আইন অনুযায়ী প্রশ্নের জবাব রাজ্যসরকার না দিলে এর জন্য আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তিনি এদিন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে শোরগোল শুরু হয়েছে শাসকদলে।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বসে সুজন বাবু পরিস্কারভাবে জানান,রাজ্যে টাকা কোথায় কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী খরচ করছেন তা জানার অধিকার রাজ্যের সাধারণ মানুষের রয়েছে। আর আগেও বহুবার একাধিক ইস্যুতে সুজনবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। বিধানসভা অধিবেশনের তৃণমূলের আওতাধীন দপ্তরগুলো সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে নেত্রীকে চিঠি লিখেছেন সুজনবাবু। কিন্তু সেসব প্রশ্নের জবাব সচেতনভাবে এড়িয়ে গিয়েছে রাজ্যসরকার। বাম বিধায়করা বিভিন্ন সময় আরটিআই করে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে রাজ্যসরকারের কাছে। সেসব প্রশ্ন জবাব দিতে বিন্দুমাত্র গরজ দেখাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রশ্ন রাখা হয়েছে রাজ্যসরকারের সামনে। এই উত্তর রাজ্যের শাসকদলকে দিতেই হবে,দাবী সুজনবাবু। হয়তো হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট অব্দি টানা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে,হুঁসিয়ারী বাম পরিষদীয় নেতার।

গর্জে উঠে তিনি বলেন,বছর বছর জার্মানি,ইতালি,চীন সফর যেন একটা উৎসবে পরিনত হয়েছে নেত্রীর। এবারে তাঁর ইউরোপ সফরের কর্মসূচি ছিল মাত্র আড়াই দিনের। তাহলে ১২ দিন সময় লাগালেন কেন? তিনি কি জানেন তাঁর সফরের সময় রাজ্যের বেশ কয়েকটি কারখানায় তালা পড়ে গিয়েছে? প্রশ্ন সুজন বাবুর। অথচ তিনি লগ্নি আনার নাম করে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! এর সঙ্গে জুড়ে হেভিওয়েট বাম নেতা আরো প্রশ্ন,দ্বিতীয় হুগলি সেতু বা মা ফ্লাইওভারের সৌন্দর্যায়নের নামে কয়েক কোটি টাকার বিশালাকার ও অত্যন্ত ভারী ফুলের টব বসানো হয়েছিল কার নির্দেশে? আর ব্রিজের ভার কমানোর জন্য এখন এসব টব তুলে ফেলাই বা হয়েছো কার হুকুমে? কোন সংস্থাকে এই টব বসানোর বরাত পাইয়ে দিয়েছিল রাজ্যসরকার তার জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতেই হবে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,আসন্ন লোকসভা ভোটে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বামফ্রন্ট। ৩৪ বছর ধরে যারা শাসন করেছে বাংলা,তাঁদেরই পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এবার তৃণমূলকে পাল্টা দিয়েই ফের নিজেদের শক্তিসঞ্চয়ের উদ্যোগ নিচ্ছে বামেরা। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। তবে ক্ষয়িষ্ণু সংগঠন নিয়ে শক্তিশালী তৃণমূলের সঙ্গে কতোটা লড়াই করতে পারবে বামফ্রন্ট সেটার পিছনে থেকে যাচ্ছে প্রশ্নচিহ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!