এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > অধিকারী-গড়ে বনধ আটকাতে হাজির খোদ শুভেন্দু অধিকারী, তবুও থমথমে কেশিয়ারি বুঝিয়ে দিল গেরুয়া অস্তিত্ব

অধিকারী-গড়ে বনধ আটকাতে হাজির খোদ শুভেন্দু অধিকারী, তবুও থমথমে কেশিয়ারি বুঝিয়ে দিল গেরুয়া অস্তিত্ব

গতকাল বিজেপির ডাকা বনধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কেশিয়াড়িতে। সকাল থেকেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। জেরে দু’পক্ষেরই কমপক্ষে সাত জন জখম হয়েছেন। তৃণমূলের তরফের পাঁচজন এবং বিজেপির দু’জন কর্মী জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আহতদের প্রথমে কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজন তৃণমূল কর্মীর অবস্থা এতোটাই আশঙ্কাজনক ছিল যে তাকে কোলকাতায় পাঠাতে বলেন চিকিৎসকরা। বিজেপির একটি দলীয় অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে বিজেপির ডাকা বনধে বিজেপিকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই দাবী করেছে তৃণমূল। জনহীন কেশিয়াড়িতেই মিছিল করেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। পরে একটি সভা করে তিনি ফিরেও জানান,এমনটাই তৃণমূল সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে।

 

প্রসঙ্গত,পঞ্চায়েত সমিতি গঠন ফের বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গতকাল বনধ ডাকে বিজেপি। বনধ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভসরা এলাকায় সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক জানান,শাসকদলের কর্মীরা যখন শুভেন্দু বাবুর সভায় যোগ দিতে আসছিল তখন বিজেপির গুন্ডারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের উপর আচমকাই হামলা করে। এর জেরে তৃণমূলের পাঁচজন কর্মী গুরুতর জখম হন। এঁরা প্রত্যেকেই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তবে তৃণমূলের এ অভিযোগ স্বীকার করে না বিজেপি।

এলাকার গেরুয়াশিবির কর্তাদের দাবী,বিজেপির কর্মীরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তৃণমূল বিজেপির উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। ঘটনায় দু’জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। এঁরা বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেহ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। উল্লেখ্য, এদিন অন্যান্য জায়গায় কিছু কিছু দোকান,বাজার খোলা থাকলেও ব্লকের প্রাণকেন্দ্র কেশিয়াড়ি বাজার ছিল একদমই শুনশান।

সংঘর্ষের ঘটনার পরই কেশিয়াড়িতে সভা করেন শুভেন্দু বাবু। পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উক্ত ঘটনার জন্য তিনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে তুলোধনা করতে ছাড়লেন না। বললেন,ভসরায় যেভাবে তৃণমূল কর্মীটা আহত হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এরকম হবে আগে জানা থাকলে বিজেপিকে তার ভাষাতেই জবাব দিয়ে দিতেন তিনি। এছাড়া স্পষ্ট হুঁশিয়ারীতে পুলিশকে বলেন,অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।

এটাও জানান,আহতদের চিকিৎসা এবং সংসারের সমস্ত দায়িত্ব দলই বহন করবে। এ প্রসঙ্গে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানান,’ একটা গণ্ডগোল হয়েছে। দু’পক্ষই মার খেয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি। ঘটনায় মামলা করা হবে। গ্রেপ্তারও করা হবে।’

সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু বাবু স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন,কোনো স্থানে গন্ডোগোল হলেই থানায় এফআইআর করতে হবে। পুলিশকে ১২ ঘন্টা,২৪ ঘন্টা সময় দিতে হবে। পুলিশ যদি এরপর কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে রাজনৈতিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে তৃণমূল। তবে কখনোই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। এরপর তিনি কেশিয়াড়িতে বিজেপির হার্মাদদের থেকে যারা তৃণমূলের কর্মীসমর্থকদের রক্ষা করেছেন তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানালেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং এটাও দাবী করলেন,তৃণমূল কখনো অন্য রাজনৈতিক দলের মিটিং মিছিলে বাধা দেয় না কিন্তু বিজেপি যেভাবে সিপিএমের কায়দায় তৃণমূলের সভা বানচাল করার চেষ্টা করল তাতে প্রমাণ হয়েই গেল কেশিয়াড়িতে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চায় বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল শাসনে বিজেপি এটা কখনোই করতে পারবে না বলে গর্জে উঠে জানালেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন,’পুলিসের অনুমতি নিয়ে মিছিল মিটিং করুন।

কিন্তু চোখ রাঙিয়ে, ডাণ্ডা মেরে, মাথা ফাটিয়ে, পতাকা ছিঁড়ে, নেত্রীর ফ্লেক্স পুড়িয়ে যদি বাহাদুরি দেখাতে চান, তা হলে আর এক ইঞ্চি এগতে দেব না।’ এরপর শুভেন্দু বাবু আরো দাবী করলেন,বিজেপির ডাকা বনধে বিজেপিরই দেখা পাওয়া যায়নি কেশিয়াড়িতে। দলের অফিসেও তালা লাগানো ছিল। সবাই মিলে বিজেপির বনধ ব্যর্থ করে দিয়েছেন। আসলে ওরা ভাঙচুর করবে বলে বেসরকারি বাস চলেনি। তৃণমূল পর্যাপ্ত পরিমান সরকারি বাস দিয়েছে বলেই যানচলাচল স্বাভাবিক ছিল। রাস্তায় দলের কর্মী না থাকার কথা প্রসঙ্গে সরব হন বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস।

বলেন, ‘আসলে তৃণমূলের পাতা ফাঁদে আমাদের কর্মীরা পা দেননি। মানুষই বন্ধ সফল করেছেন।’ তবে বিজেপির বনধ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবী করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিও। সাধারণ মানুষ তাঁদের বনধ সমর্থন করবে না এটা বুঝতে পেরেই পথে নামেনি বিজেপি। অন্যদিকে,বিজেপির পার্টি অফিসে ভাঙচুরের করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে গেরুয়াশিবির। তবে এরকম কোনো ঘটনা ঘটে নি। মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি,এমনটাই জানালেন তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!