এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে ব্যাপক চাপে ফেলে দিলেন সৌগত, সৌজন্যে কোন কারণ? জেনে নিন!

শুভেন্দুকে ব্যাপক চাপে ফেলে দিলেন সৌগত, সৌজন্যে কোন কারণ? জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন বাংলায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তখন মধ্যস্থতা করে শুভেন্দু অধিকারী যাতে দলে থাকেন, তার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সেই চেষ্টাতে সফলতা আসেনি। বহু আলোচনা চালালেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী।

তারপর নানা ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। পাল্টা বিজেপির জনসভা থেকে সৌগতবাবুকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় বসলে বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পান বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই রাজ্যের হিংসা সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির থেকেও বেশি খারাপ অবস্থা বলে দাবি করতে দেখা গেছে বিরোধী দলনেতাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি তাহলে কি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চলেছে, এইরকম প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মন্তব্যকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়ে তাকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।

বস্তুত, শুভেন্দু অধিকারী যখন দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জল্পনা উস্কে দিয়েছেন, ঠিক তখনই সেই দায়িত্ব পেয়ে প্রবীণ নেতাদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার দলের বর্ষিয়ান নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়িতে উপস্থিত হন অভিষেকবাবু। যেখানে দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপরই বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের তরফ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর 356 ধারা প্রয়োগ নিয়ে যে বক্তব্য, তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। যার উত্তর দিতে গিয়ে প্রবীণ এই সাংসদ বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর সংবিধানের কোনো জ্ঞান নেই।” অর্থ্যাৎ বাংলার পরিস্থিতি খারাপ সহ একাধিক বিষয়ে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে প্রতিপক্ষ দলের নেতা যতই মন্তব্য করুন না কেন, তাকে কার্যত গুরুত্ব না দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রবীণ এই তৃণমূল সাংসদ।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বাংলার হিংসার ঘটনাকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তুলে ধরতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বাংলায় গণতন্ত্র নেই, এই অভিযোগ করতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই সোমবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ডেকে পাঠানো হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যার কারণে মঙ্গলবার দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।

যেখানে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি 356 ধারা প্রয়োগের থেকেও খারাপ।” আর এরপরই জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। তাহলে কি বাংলা দিরে দিরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে? বিজেপির পক্ষ থেকে কি এই ব্যাপারে চাপ দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে? তবে এবার গোটা বিষয়টিকে সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সংবিধানের ব্যাপারে বিন্দুবিসর্গ জ্ঞান নেই বলে তাকে পাল্টা চাপে ফেলে দিলেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। যাকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!