এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তারকেশ্বরের নির্বাচনে তৃণমূল নেতার প্রভাব? মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

তারকেশ্বরের নির্বাচনে তৃণমূল নেতার প্রভাব? মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


প্রবল জটিলতা তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত মন্ডলের কার্যকরী সমিতির নির্বাচনে। জানা গেছে, এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ইতিমধ্যেই তা চারজন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ছড়াতে শুরু করেছে জল্পনা।

বস্তুত, বর্তমানে এই তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত মন্ডলীর সদস্য রয়েছেন 98 জন। বিগত বেশ কয়েক বছর আগে ভোট ছাড়াই সর্বসম্মতিক্রমে কমিটি গঠন করা হলে তখন সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তারকেশ্বর পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অমিতাভ হাজরা।

তবে বেশ কয়েক বছর ধরে ভোট না হওয়ায় সম্প্রতি কমিটি গঠনের জন্য আগামী 31 অক্টোবর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হলে মোট 17 জন ব্যক্তির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য করা হলে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে 4 জন সেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে কিছুদিন আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সংখ্যা 17 জন থাকলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে 13 জনে। কিন্তু কেন এই চারজন ব্যক্তি তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত পার্থসারথি মজুমদার বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের নির্বাচন হয়। পুরোহিত মন্ডলীর যে কোনো সমস্যার সমাধানে এই কমিটি কাজ করে। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে 17 জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ইতিমধ্যেই পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চারজন তা প্রত্যাহার করেছেন। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে কিনা, তা আমাদের জানা নেই। তবে কিছু মানুষ নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।”

এদিকে এই ব্যাপারে পুরোহিত মণ্ডলীর সম্পাদক তথা তৃণমূল কাউন্সিলর অমিতাভ হাজরা বলেন, “আমি এবার এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। গতবার আমাকে সর্বসম্মতিক্রমে সম্পাদক করা হয়েছিল। কমিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পদাধিকার নেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আমি শুনেছি ব্যক্তিগত কারণে অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। সম্পাদক হিসেবে যেভাবে কাজ করেছি, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আমি সবথেকে বেশি ভোটে জয়লাভ করতাম।”

কিন্তু সমালোচক মহলদের একাংশ বলছেন, যেভাবে তৃণমূল নেতা তথা বিশিষ্ট কাউন্সিলর অমিতাভ হাজরা এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন না এবং কোনো কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও তা প্রত্যাহার করে নিলেন! তাতে এক ঘটনার সঙ্গে অন্য ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছে একাংশ। কিন্তু আগামী 31 অক্টোবর তারকেশ্বরের নির্বাচনে কারা জয়ী হয় এবং সেই নির্বাচন ঠিক কতটা শান্তিপূর্ণ হয়! সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!