এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউনের ৪র্থ পর্বেই করোনা সংক্রমণ সবথেকে বেশি, তবুও আনলক-১? দেশজুড়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা

লকডাউনের ৪র্থ পর্বেই করোনা সংক্রমণ সবথেকে বেশি, তবুও আনলক-১? দেশজুড়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা


গোটা দেশে আজ থেকে চালু হল লকডাউন-৫ ওরফে আনলক-১। ফলে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্র এবং নির্দিষ্ট কিছু জায়গা ছাড়া খুলে যাচ্ছে প্রায় সবকিছুই। আর এই নিয়ে এবার বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল বিশেষজ্ঞদের মনে। লকডাউনের যে চতুর্থ পর্ব চলেছে, তাতেই দেখা গেছে ভারতে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ সবথেকে উর্ধগামী, এই সময়ের মধ্যেই দেশের মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেক লোক আক্রান্ত হয়েছেন। রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা কাউন্ট!

তারপরেও কেন তড়িঘড়ি করে আনলক-১ চালু হল? এখন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন! প্রসঙ্গত, অতিমারি করোনা ভারতবর্ষে থাবা বসানোর পর গত ২৫ শে মার্চ থেকে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। ভারতবর্ষে প্রথম করোনা আক্রান্ত রাজ্য হল কেরালা। জানা গেছে চীনের উহান ইউনিভার্সিটির এক ডাক্তারি পড়ুয়া গত ৩০ শে জানুয়ারি কেরালায় ফেরে এবং সেখান থেকেই ছড়াতে থাকে সংক্রমণ। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী ২৪শে মার্চ লকডাউনের আগে পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫১২ জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর, ২৫ শে মার্চ থেকে ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত ২১ দিনের প্রথম দফার লকডাউনে সারাদেশে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০ হাজার ৮৭৭ জন। এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দ্বিতীয় দফার লকডাউন ঘোষনা করা হয় গত ১৫ই এপ্রিল থেকে ৩ রা মে পর্যন্ত। ১৯ দিনের এই দ্বিতীয় দফার লকডাউনে গোটা দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ৯৪ জন। এরপর গত ১৭ ই মে পর্যন্ত জারি থাকে তৃতীয় দফার লকডাউন। তৃতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদে সমগ্র দেশে করোনা আক্রান্ত হয় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১৮ ই মে থেকে ৩১ মে-এর মধ্যরাত পর্যন্ত চতুর্থ দফার লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সূত্রের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৩১ শে মে সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৭ হাজার ৯৭৪ জন। অর্থাৎ, সরকারি তথ্য অনুযায়ী এই চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষে সংক্ৰমণ বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই দফাতেই সব থেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরেছেন। যার ফলে সংক্ৰমন আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আর তাই এত ঝুঁকির মধ্যেও এরপর ৩০ শে জুন পর্যন্ত ফের পঞ্চম দফার লকডাউন ঘোষণা কেন করা হল – এখন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন! যদিও এই পঞ্চম পর্যায়ের লকডাউনে আনলক-১ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে পঞ্চম দফার লকডাউনে রাখা হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই শিথিলতা। শিথিলতা আনা হয়েছে শপিংমল, বাজার, রেস্তোরাঁ, হোটেল ইত্যাদি ক্ষেত্রেও। বিশেষজ্ঞদের মতে লকডাউন পরিস্থিতিতে ভারতে যে পরিমাণ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আনলক-১ পর্যায়তে করোনা সংক্রমনের লেখচিত্র ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!