তৃণমূল পার্টি গুণ্ডা, সমাজবিরোধী, খুনিদের পার্টি। সোমবার বেলিয়াবেড়া ব্লকের রান্টুয়ায় বিজেপির গান্ধী সংকল্প যাত্রায় যোগ দিয়ে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবু বলেন, বাংলায় সবচেয়ে বেশি হিংসা। যত সমাজবিরোধী সব তৃণমূল পার্টির মধ্যে রয়েছে। লুটপাট করে খাচ্ছে। পুলিসের কোমর ও ঠ্যাং ওরা ভেঙে দিয়েছে। পুলিসের কোনও হিম্মত নেই। তৃণমৃল নেতাদের বাড়িতে ঝাঁট দেওয়া ও বাসন মেজে দেওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ নেই ওদের। চোর, ডাকাত, বদমাশ গুণ্ডরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের গায়ে হাত দিতে পারে না পুলিস।

এদিন সকালে বেলিয়াবেড়া চোরমুণ্ডিতে বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে মালা দেন দিলীপবাবু, ঝাড়গ্রামের সংসদ সদস্য কুনার হেমব্রম, বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী প্রমুখ। তারপর রন্টুয়ায় এক পথসভা যোগ দেন দিলীপবাবু। সভা শেষে রান্টুয়া থেকে তপসিয়া পর্যন্ত পদযাত্রায় শামিল হন তিনি।

দিলীপবাবু বলেন, যারা পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের পয়সা ঝেড়ে খেয়েছেন, বাড়ি-¬গাড়ি করেছেন, তাঁরা এখন চোখ দেখাচ্ছেন। তাঁরা বুঝে গিয়েছেন, আগামী বিধানসভায় তৃণমূলের রাজত্ব আর থাকবে না। মোদি হাজার হাজার কোটি টাকা দিচ্ছেন, দিদির ভাইরা খেয়ে পেট মোটা করছে।

দিলীপবাবু বলেন, দেড় বছর পর ভোট হবে। যেমন জঙ্গলমহলের মানুষ রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে ইলেকশনে আমাদের এমপিদের জিতিয়েছেন, আগামী ২০২১ সালে তার চেয়ে বেশি ভোটে জেতাবেন। ঝাড়গ্রাম একটাও আসন তৃণমূল যাতে জিততে না পারে, তার জন্য এখন থেকে শপথ নিতে হবে। যারা জঙ্গল ও বালি, গোরু লুট করেছে, তাঁদের একটাও ভোট দেবেন না। যে চোখ দেখাবে, ভয় দেখাবে, তার নাম লিখে রাখুন। সে সরকারি আধিকারিক হোক ও তৃণমূলের ফুট বা ইঞ্চি সাইজের নেতা। সব হিসেব আমি করে দেব। ২০২১ সালে তৃণমূলের প্রচার করার লোক পাবে না। আগামী বিধানসভা ভোটে দিদিমনিকে হারিয়ে নবান্নের চোদ্দতলা থেকে কালীঘাটের কালীতলায় পাঠিয়ে দেব।