এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কার্যকর হলই না তৃণমূলের নতুন কমিটি, জোর গুঞ্জন

কার্যকর হলই না তৃণমূলের নতুন কমিটি, জোর গুঞ্জন

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল যে সমস্ত জেলায় খারাপ ফল করেছিল, সেই সমস্ত জেলার দলীয় সংগঠনে পরিবর্তন এনেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পরেই নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বরা তাদের জেলার বিভিন্ন ব্লক কমিটি পরিবর্তন করতে শুরু করে। যার মধ্যে অন্যতম নদীয়ার কৃষ্ণনগরের নাকাশিপারা ব্লক। কিন্তু এ যেন শেষ হয়েও হইল না শেষ। সূত্রের খবর, নাকাশিপাড়া ব্লকে নতুন কমিটি কার্যকরই হল না।

জানা গেছে, আপাতত এখানে পুরনো কমিটিই বহাল রয়েছে। আর তারাই সংগঠন দেখভাল করছে। প্রসঙ্গত, ছোট আকারে ৩৭ জনের নতুন কমিটি কয়েক সপ্তাহ আগে গঠন করা হয়েছিল। তবে রাজ্যস্তরের নির্দেশে সেই কমিটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে দলের এক নেতা বলেন, “সংসদ সদস্য তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী মহুয়া মৈত্রর ইচ্ছাতেই হঠাৎ করে ওই ব্লক এতটা ছোট করা হয়েছিল। তারপর থেকেই নদীয়া জেলাজুড়ে অন্যান্য ব্লকেও একাধিক তৃণমূল কর্মী ব্লক কমিটি থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা করছেন। অবশেষে পুরনো কমিটিই বহাল থাকার খবরে অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে নদীয়া জেলার পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নাকাশিপাড়া ব্লক কমিটি ছোট হয়েছে বলে আমার কাছে কোনও খবর নেই।”

এদিকে এই ব্যাপারে নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, “মহুয়া মৈত্র ছোট কমিটি করার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর লোকসভার অন্তর্গত একাধিক ব্লকেই তিনি কমিটি ছোট করার ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমাদের এখানে কমিটি গঠনও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরে রাজ্য নেতাদের নির্দেশে তা বাতিল হয়ে আগের কমিটিই বহাল থাকছে। নতুন যে কমিটি হয়েছে তার কোনও বৈধতা নেই, আগের কমিটিরই অস্তিত্ব থাকছে। বর্তমানে পুরনো কমিটিই কাজ করছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে নাকাশিপাড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অশোক দত্ত বলেন, “এখন আর কোনও সমস্যা নেই। আমাদের পুরনো কমিটিই সমস্ত কাজ করছে। নতুন কমিটি রাজ্য থেকেই বাতিল করা হয়েছে।”

বিশ্লেষকদের মতে, নাকাশিপাড়ায় এই কমিটি গঠনের অনেক আগেই বিভিন্ন সভায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মহুয়া মৈত্র ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ছোট কমিটি গঠন করা হবে। সেইমতো নাকাশিপাড়ার নতুন ৮০জনের ব্লক কমিটি থেকে অনেককে ছাঁটাই করে নবনির্বাচিত কমিটিতে রাখা হয় ৩৭ জনকে। যা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক প্রবীণ নেতা। ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছিল বিধায়ক কল্লোক খাঁকেও। আর এরপরই জেলার একাধিক ব্লকের সভাপতিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

কারণ, এই সাংগঠনিক জেলার গোটাটাই সাজানোর দায়িত্ব রয়েছে মহুয়া মৈত্রর। দলের একটা বড় অংশের প্রশ্ন, আচমকাই একটি কমিটি ছোট করায় দলের অনেক বর্ষীয়ান নেতাকে বাদ দিতে হয়েছে। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতাদের কাছেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর এরপরই রাজ্য নেতারা নতুন কমিটি বাতিল করে পুরনো কমিটি বহাল রাখতে নির্দেশ দেন।

এদিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্লক সভাপতি বলেন, “মহুয়া মৈত্র বা দল থেকে সিদ্ধান্ত নিলে তা না মানা ছাড়া উপায় থাকে না। তবে ব্লক চালাতে গেলে কমিটিতে অনেককে রাখতেই হয়। তাতে কমিটি বড় হলেও কিছু করার থাকে না। আর এখন পরিস্থিতি বেশ খারাপ। কেউ যদি মনে করেন, তাঁকে বাদ দেওয়ায় প্রাপ্য সম্মানটুকু পাচ্ছেন না, তবে তিনি বিরোধীদের দিকে ঝুঁকছেন। সেটা দলের পক্ষে খুব ভালো হবে না। ফলে নাকাশিপাড়া নিয়ে রাজ্যের যে সিদ্ধান্ত তা অনেকটাই বাস্তববাদী হয়েছে।” সব মিলিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের আপত্তিতে নাকাশিপাড়ায় তৃনমূলের নতুন কমিটি কার্যকরই হল না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!