এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা করোনা আক্রান্ত হতেই একযোগে কোয়ারেন্টাইনে গেলেন তৃণমূলের ৫০ নেতানেত্রী

হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা করোনা আক্রান্ত হতেই একযোগে কোয়ারেন্টাইনে গেলেন তৃণমূলের ৫০ নেতানেত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় একটি কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তৃণমূলের এক যুবনেতা করোনা পজেটিভ আক্রান্ত ছিলেন। যার পরেই রীতিমতো গৃহ নিভৃতবাসে চলে যেতে হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সমস্ত নেতৃত্বদের। আর এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পথেই হাঁটতে দেখা গেল মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি মালদহ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা বর্তমান বোর্ডের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মঙ্গলবার তিনি একটি দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আর তারপরেই তৃণমূলের এই নেতার সংস্পর্শে আসা মালদহ জেলা তৃণমূলের প্রায় 50 জন নেতা-নেত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল। আর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পর এবার মালদহ জেলাতেও তৃণমূলের সমস্ত নেতা-নেত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়ায় রীতিমত গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত জুন মাসের 27 তারিখে ইংরেজবাজার শহরের বিনয় সরকার অতিথি আবাসে তৃণমূলের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৌসম বেনজির নূর সহ প্রাক্তন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আর এই বৈঠকের পরেই সেই জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়ে। আর এই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই এবার সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রেখে সেই বৈঠকে উপস্থিত সকল নেতা-নেত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই বলছেন, বর্তমান সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে কেন তৃণমূল এখন তাদের দলীয় মিটিং এবং জমায়েত করছে? কার শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে কেউ বলতে পারবে না। তাই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনের পর এবার মালদহ জেলায় তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা বৈঠকের পরে যেভাবে এক তৃণমূল নেতার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ল, তাতে তৃণমূলের সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা‌।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি আবার তার অল্প কিছুদিন আগেই আমাদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত জনপ্রতিনিধি, পদাধিকারী প্রত্যেককেই কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমিও যাচ্ছি।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, “দলের নির্দেশ পেয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছি। এদিন থেকে আগামী 14 দিন কোনো দলীয় মিটিং বা বৈঠকে যাব না। তবে আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি অনলাইনে চালিয়ে যাব। অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমরা সব কাজকর্ম পরিচালনা করতে পারব।”

একাংশ বলছেন, কথায় আছে, চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। তৃণমূল কেন তাহলে সামাজিক দূরত্ব পালন করার নিয়ম থাকা সত্বেও এতদিন এই মিটিং করল? যদি তারা এইরকম বৈঠক না করত, তাহলে তো কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইন যেতে হত না। একটু সচেতনতা পালন করলে এবং ধৈর্য ধরলেই তো স্বাভাবিক কাজকর্ম করা যেত। কিন্তু তা না করে যেভাবে তৃণমূল এখন থেকেই রাজনৈতিক কাজে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তাতে সংক্রমণ আরও বেশি করে ছড়াচ্ছে বলে দাবি করছে বিরোধীরা। সব মিলিয়ে এবার মালদহ জেলায় 50 জন তৃণমূল নেতা নেত্রী হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ায় তাদের সমস্ত রাজনৈতিক কাজ আপাতত স্থগিত হয়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!