এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > পদত্যাগ তৃণমূল নেতাদের! শুভেন্দু গড়ে চাপ বাড়লো নাকি স্বস্তি, জল্পনা তুঙ্গে

পদত্যাগ তৃণমূল নেতাদের! শুভেন্দু গড়ে চাপ বাড়লো নাকি স্বস্তি, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করা নিয়ে বর্তমানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। যার ফলে পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে তৃণমূলের তরফে শুরু হয়েছিল শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া। বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতির খবর পাওয়া মাত্রই অভিযুক্ত নেতাদের শোকজ করতে শুরু করেছিল শাসক দল। অনেক ক্ষেত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, দুর্নীতি করলে পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। আর সেই মতই দলের নির্দেশ অনুযায়ী এবার ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ায় নন্দীগ্রাম 1 ব্লকের কেন্দামারি-জালপাই পঞ্চায়েতের প্রধান সহ 12 জন সদস্য দলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন।

সূত্রের খবর, এদিন সকলেই ব্লক সভাপতির কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা দাস এবং কালিচরণ পুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শেখ আলম আলরাজিকে সম্প্রতি দুর্নীতির জন্য পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের তৃণমূলের কার্যালয় সকাল ন’টায় দুর্নীতির জন্য নটায় শোকজ করা 200 নেতাকে নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বৈঠক করা হয়। সেখানে অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার দিকে তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল।

জানা যায়, এই বৈঠকেই দুজন অঞ্চল সভাপতি এবং দুজন পঞ্চায়েত প্রধানকে তাদের পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারই অঙ্গ হিসেবে ভেকুটিয়া অঞ্চলের সভাপতি এবং কেন্দামারি-জালপাই পঞ্চায়েতের প্রধান দলের নির্দেশ অনুযায়ী পদত্যাগ করেছেন বলে খবর। একইভাবে নন্দীগ্রামে 1 ব্লকে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পাকাবাড়ি এলাকায় বেশ কিছু উচ্চবিত্ত পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা টাকা না পাওয়ায় বিডিও অফিসে অভিযোগ করায় তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে। তবে দলের তরফে দুর্নীতি বন্ধ করতে কড়া বার্তা দেওয়ার পর নন্দীগ্রাম 1 ব্লকের কালীচরনপুরের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাবিনা আক্তার খান ক্ষতিপূরণের 20 হাজার টাকা ফেরত চেয়েছেন। শ্বশুর রেশন ডিলার, স্বামী শিক্ষক হলেও কেন তিনি ক্ষতিপূরণের টাকা পেলেন, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে তৃনমূলের পক্ষ থেকে শুদ্ধিকরনের রাস্তায় হেঁটে দলকে সবক শেখানো হচ্ছে, তাতে তৃনমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা এখন কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন।

দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে তাই পঞ্চায়েত প্রধান সহ একাধিক সদস্যদের পদ ছাড়ার ঘটনা এখন আরও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করল। এদিন এই ব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা টিএমসির ব্লকের কোর কমিটির সদস্য শেখ সাহাউদ্দিন বলেন, “আমি নিজে পঞ্চায়েত সদস্য। প্রধান আমরা 11 জন সদস্য পদত্যাগ করেছি। দলে স্বচ্ছতা আসুক। নতুনদের দায়িত্ব দেওয়া হোক।

আগামী দিনে পার্টির কাজকর্ম নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাব‌।” কিন্তু এভাবে কি আরও নেতাদের শোকজ করা হবে? এদিন এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের তৃনমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, “সোমবার কেন্দেমারি জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ 12 জন সদস্য আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আরও কয়েকজনকে পদত্যাগের দেওয়া হয়েছে।” সব মিলিয়ে এখন দুর্নীতি আটকাতে তৃনমূলের পক্ষ থেকে দলের জনপ্রতিনিধিদের পদত্যাগের নির্দেশ তৃনমূলকে কতটা শৃঙ্খলাবদ্ধতা করে তোলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!