এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে ফাঁসাতে সব চেষ্টা ব্যার্থ, আদালতে ফের সজোরে ধাক্কা খেলেন মমতা!

শুভেন্দুকে ফাঁসাতে সব চেষ্টা ব্যার্থ, আদালতে ফের সজোরে ধাক্কা খেলেন মমতা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরের দিন থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে ফাঁসাতে সব চেষ্টা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এতদিন বিরোধীরা সেই অভিযোগ করতো। তবে যত সময় যাচ্ছে, ততই রাজ্যের চালাকি ধরা পড়তে শুরু করেছে। এবার ফের কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী থাকার সময় তার দেহরক্ষীর মৃত্যু নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি‌। কিন্তু তিনি বিরোধী দলনেতা হয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে চাপে ফেলার পরেই তাকে চাপে খেলার প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য প্রশাসন বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির মন্তব্যে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই দাবি বিরোধীদের।

প্রসঙ্গত, গত 2018 সালের 13 অক্টোবর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। এদিকে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর তারপর সেই নিরাপত্তারক্ষীর স্ত্রী নতুন করে শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। যে ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। আর সেই বিষয় নিয়েই আদালতে রাজ্যকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেন বিচারপতি। রাজ্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “ঘটনার পাঁচ বছর পর যদি নতুন করে মামলা শুরু হয়, তাহলে এই ধরনের কত মামলা শুরু হবে? নতুন করে মামলা শুরু করার কি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে?”

বিরোধীদের মতে, রাজ্যের ব্যর্থতা আবার আদালতে স্পষ্ট হয়ে গেল। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্য নাকি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না! শুভেন্দু অধিকারী নাকি নিজেই অপরাধমূলক কাজ করেছেন! তাই পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু আদালতে বহুদিন আগেকার মামলা নিয়ে আবার নতুন করে তৎপরতা শুরু করায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থায় রীতিমত প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব রকম চেষ্টা করছেন। তবে সেই চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত জল পড়ে যাচ্ছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ভুলে যাচ্ছেন যে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নাম শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী সেটিং করা বিরোধী নেতা নন। চোখে চোখ রেখে কথা বলার মত ক্ষমতা তার রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য বিধানসভায় এক লাইভ সম্প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম কি করে কেড়ে নিতে হয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। তাই কোনোভাবেই যখন তাকে আটকানো যাচ্ছে না, তখন পুরাতন মামলা টেনে এনে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্য যেভাবে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল, তাতে সজোরে ধাক্কা খেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!