এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শাসকদলকে তীব্র অস্বস্তিতে ফেলে দাপুটে নেতার ছায়াসঙ্গী তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার!

শাসকদলকে তীব্র অস্বস্তিতে ফেলে দাপুটে নেতার ছায়াসঙ্গী তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার!

 

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হওয়ার পেছনে দলীয় স্তরে তোলাবাজির দাপট যে অনেকাংশেই দায়ী, তা ফলাফল পর্যালোচনায় উঠে এসেছিল। আর নির্বাচনে এই খারাপ ফলাফলের পরই দলের তরফ থেকে কোনো তোলাবাজি বরদাস্ত করা হবেনা বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভ্যাস যদি স্বভাবে পরিণত হয়, তাহলে বড়ই বিপদ। সেই রকমই তৃণমূলের শীর্ষস্তর থেকে তোলাবাজি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও কিছু কিছু তৃণমূল নেতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে সেই বীজ প্রবেশ করেছে। যার ফলে এবার প্রবল অস্বস্তিতে পড়ল ঘাসফুল শিবির।

সূত্রের খবর, তৃণমূলের হেভিওয়েট যুব নেতা সৌমিক হোসেনের ছায়াছবি বরুন মাঝি তোলাবাজি করতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়ায় এবার প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, বরুণ মাঝি এবং আরও 2 জনকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে 419, 420, 387 এবং 365 ধারায় মামলা করা হয়েছে।

অভিযোগ, পুলিশের পরিচয় দিয়ে এই বরুণ মাঝি এবং তার দুই ঘনিষ্ঠ কারবালা রোডে ট্রাক থেকে তোলা আদায় করত। এমনকি কোনো চালক যদি তোলা দিতে অস্বীকার করত, তাহলে তাদের ব্যাপক মারধর করা হত। শনিবার এই সমস্ত অভিযোগ পাওয়ার পরই তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যার পরেই কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

কেননা যে বরুণ মাঝিকে এদিন পুলিশ তোলাবাজির জন্য গ্রেপ্তার করেছে, সেই বরুণ মাঝির ছবি তৃণমূলের হেভিওয়েট যুব নেতা সৌমিক হোসেনের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদ জেলায় এরকম অবৈধ কাজ করার জন্য বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় তৃণমূল চাপে পড়লেও সাধারণ মানুষের মনে তৃণমূলের ভাবমূর্তি আরও স্বচ্ছ হচ্ছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা মানুষ এই সমস্ত অস্বচ্ছ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মত পোষণ করেছে। তাই বিধানসভার আগে সেই তোলাবাজি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের একাংশ সেই কাজ চালিয়ে যাওয়ায় দল অস্বস্তিতে পড়েছিল। তবে এবার পুলিশ প্রশাসন সেই নেতাদের গ্রেপ্তার করায় তৃণমূলে যে দুর্নীতি বাসা বেধেছে, তা প্রকাশ্যে চলে এল বলে বিশেষজ্ঞদের।

যার ফলে এখন বিরোধীদের কটাক্ষের মুখ থেকে ছাড় পাচ্ছে না শাসকদলের নেতারা। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “সারা রাজ্যেই এরকম তোলাবাজি চলছে। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ তোলাবাজিদের এভাবে গ্রেপ্তার করলে বাংলাটা বাচবে।” কিন্তু যাকে তোলাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল, সেই ব্যক্তির সাথে তো তার ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে! ফলে তিনি কি চাপে পড়লে না?

এদিন এই প্রসঙ্গে যুব তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন বলেন, “ওর সঙ্গে আমার কালিপুজোর সময় শেষ দেখা হয়েছিল। অনেকেই আমার ঘনিষ্ঠ। তাদের মধ্যে কে কি করছে, তা আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে আমি শুনেছি, এলাকায় ও ভালো ছেলে হিসেবেই পরিচিত। ও আমার আগে থেকে দল করছে।” তবে সৌমিকবাবু যে কথাই বলুন না কেন, এর ফলে যে তিনি এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা হলেও চাপে পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!