এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আউশগ্রামে তৃণমূল নেতা খুনে ঘুরিয়ে দলের দিকেই আঙ্গুল তুলছে স্থানীয় নেতৃত্ত্ব

আউশগ্রামে তৃণমূল নেতা খুনে ঘুরিয়ে দলের দিকেই আঙ্গুল তুলছে স্থানীয় নেতৃত্ত্ব

চলতি সপ্তাহে বর্ধমানের আউশগ্রাম-১ ব্লকের বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায় ঐ অঞ্চলের স্থানীয় অধিবাসীরা অবশেষে দাবি করলেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে দলের মধ্যেকার দুটি পৃথক গোষ্ঠীর বিবাদ সময় মতো মীমাংসা করা সম্ভব হলেই এই খুনের ঘটনা নিশ্চিতভাবেই আটকানো যেত। প্রসঙ্গতঃ সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতে জয়লাভের পরে ঐ পঞ্চায়েত কোন গোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত হবে তাই বেশ কয়েকদিন যাবত দলের অন্দরেই একটা চাপা উত্তেজনা চলছিলো। জানা যাচ্ছে ব্লক নেতৃত্ব এই প্রসঙ্গে হওয়া একাধিক মারপিট, বোমাবাজি ও সংঘর্ষের ঘটনাকে কোনো গুরুত্বই দেয়নি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এই অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে আউশগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শেখ সালেক রহমান বললেন, “যারা খুনের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি হবে। কেউ রেহাই পাবে না। একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমরা ভাবতেই পারিনি এরকম একটা ঘটনা ঘটতে পারে।” অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুনের দিনে দুষ্কৃতিদের আক্রমনের ঘন্টা খানেক  আগে বনপাশ লেভেল ক্রসিং লাগোয়া শ্রীকান্ত চক্রবর্তীর চায়ের দোকানে উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী গৌর মান্না। হামলার মিনিট ১৫ আগেই গৌর বাবু সেখান থেকে চলে যান। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিস্থিতিতে ঐ অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিমন্ডল সম্পর্কে দলীয় কর্মী গৌর মান্না বললেন, ” পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্লক নেতৃত্ব কার্যত উজ্জ্বলবাবুর উপর অনাস্থা প্রকাশ করে জয়দেব মণ্ডলকে অঞ্চল কার্যকরী সভাপতি করে দেয়। উজ্জ্বলবাবুকে এড়িয়ে তাঁরই হাতে তৈরি জয়দেববাবুকে মাথায় তুলে নাচানোর ফলে তিনিও ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন না। সমান্তরাল কাজকর্ম এবং রেষারেষি চলতে থাকে।” উল্লেখ্য বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৮জন সদস্য আছেন। নির্বাচনের আগেই ব্রজপুর, বড়া এবং বিল্বগ্রামের একটি সংসদে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বচসা হয়। জানা যাচ্ছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী বেশিরভাগ সদস্য উজ্জ্বলবাবুর সমর্থনে ছিলেন। এক গোষ্ঠী থেকে অন্য গোষ্ঠীতে সদস্যদের নিয়ে আসার জন্য হামলা এবং ভয় দেখানোর মত উপায় বেছে নিয়েছিলেন অপর গোষ্ঠী। সব কিছু জানা সত্ত্বেও সুকৌশলে এই সব ঘটনা থেকে দূরে থাকইতেন  আউশগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ সালেক রহমান। আর সেই কারণেই উজ্জ্বলবাবুর খুনের ঘটনা ঘটলো বলে স্থানীয় মানুষজন মনে করছেন। উল্লেখ্য উজ্জ্বলবাবু ২০১২ সাল থেকে বিল্বগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির পদে আসীন ছিলেন। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও গুসকরার এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাহিনী উজ্জ্বলবাবুর উপর হামলা চালায়। ঐ অঞ্চলের স্থানীয় এক অধিবাসীর সূত্রে জানা গেলো , প্রাণহানির আশঙ্কা আগাম আঁচ করে সম্প্রতি বেশ কয়েকবার ব্লক সভাপতিকে ফোন করে দল ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু, দল সাংগঠনিক কাজকর্ম থেকেও উজ্জ্বলবাবুকে অব্যাহতি দেয়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!